কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই হত্যার ৪ ঘণ্টা পরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই হত্যার চার ঘণ্টা পরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলমগীর খান বাবুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ ভোররাত পৌনে ২টার দিকে কুমার নদের দেবতলা ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
গতকাল তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভাই লিয়াকত হোসেন বল্টুকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
লিয়াকত হোসেনের ভাতিজা মসিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার বাবা শওকত আলী ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। ২০১৫ সালেও তিনি এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। চাচা গতকাল নির্বাচনি প্রচারণা শেষে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আলমগীর খান বাবুর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা অস্ত্র হাতে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চাচাকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
আলমগীর খান বাবুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাবুর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছে। বাবু জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপদে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক তৈয়বর রহমান খান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আলমগীর খান বাবু স্টোক করে মারা গেছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।’
আলমগীর খান বাবুর মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করা যাবে।’
Comments