ঘূর্ণি বলে নজরকাড়া আকিল

লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল টার্ন করে বেরিয়ে গেল অফ স্টাম্প ছাড়িয়ে। মিরপুর একাডেমি মাঠে নিজ দলের ব্যাটসম্যানকে ধোঁকা দিয়ে কোচের বাহবা পেলেন আকিল হোসেন। পরে আর্ম বলেও বেশ পটু দেখা গেল তাকে।
শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া বাংলাদেশে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আহামরি কেউ নেই। তবে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার আকিলকে নিয়ে অনেক আশা সফরকারীদের। তার কিছুটা যৌক্তিকতা পাওয়া গেল শনিবারের অনুশীলনে।
এদিন সকালে উইন্ডিজের ওয়ানডে স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা চালিয়েছেন ম্যাচ পরিস্থিতির নিবিড় অনুশীলন। স্কোয়াডে ওয়ানডের অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন সাতজন। ব্যাটিংয়ে রোবম্যান পাওয়েল, সুনিল আম্রিস, জেসন মোহাম্মদরা থাকলেও বোলিং বেশ আনকোরা। এক আলজেরি জোসেফ ছাড়া কাররোই নেই অভিজ্ঞতা।
পেসার চেমার হোল্ডার, অফ স্পিনার আন্দ্রে ম্যাকার্থি, মিডিয়াম পেসার রেমন্ড রেইফাররা বিশেষ কেউ হতে পারেন বলে নিজেদের তুলে ধরতে পারেননি।
তবে আকিল ছিলেন আলাদা। বল হাতে পেয়েই সবার নজর কেড়ে নেন তিনি। বিশেষ করে তার টার্ন আর বাউন্স ছিল দেখার মতো। বারবার ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে দেখা গেছে তাকে।
এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কোন সংস্করণেই অভিষেক হয়নি আকিলের। তবে সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। ২৭ বছর বয়েসী স্পিনার ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। এক ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা।
বাংলাদেশে এসে আকিলকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করেন উইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স, ‘আকিল খুব ভাল করেছে। ত্রিনিদাদের হয়ে বেশ কবছর ধরে খেলছে। সিপিএলে দারুণ করল। দ্রুত রান করতে পারার ক্ষমতাও আছে। এছাড়া সে খুব ভালো ফিল্ডার। একজন কার্যকর অলরাউন্ডার।’
অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদও আকিলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘আমার মনে হয় সে খুব ভালো অলরাউন্ডার। বাঁহাতি স্পিনার। সে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে। বল অনেক টার্ন করাতে পারে। দারুণ আর্ম বল আছে ঝুলিতে। ব্যাট করতে পারে, ফিল্ডিংয়েও দারুণ। আশা করি সে তার মেধা খাটিয়ে অসাধারণ কিছু করে দেখাবে।’
Comments