একজন নিখোঁজ উপাচার্য
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা পাননি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। দেখা না করেই বাসভবনের পেছনের দরজা দিয়ে উপাচার্য বের হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ কয়েক ঘণ্টার জন্য ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায় ক্যাম্পাস সূত্রে। উপাচার্যের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা থাকলেও ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মাসের পর মাস ক্যাম্পাসেই আসেন না। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরেই বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।
শিক্ষকরা জানান, তিনি ঢাকায় থাকতেই পছন্দ করেন।
ক্যাম্পাস সূত্র আরও জানায়, উপাচার্য সকাল ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে এসে সরাসরি তার বাসভবনে যান।
উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব মো. আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে তিনি ক্যাম্পাসে এসেছেন। জানতে পেরে, সকাল ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বিক্ষোভ চলাকালে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
দুপুর আড়াইটার দিকে তারা জানতে পারেন, উপাচার্য তার বাসভবন ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ, বাসভবনটির সামনেই শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য পেছনের দরজা দিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করেন এবং বের হন জানিয়ে অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে উপাচার্যের দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে।’
উপাচার্য তার পদের অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। কারণ, এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। উপাচার্য কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে চান না।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণে বেরোবি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করছেন। অথচ, তার বেশিরভাগ সময় ক্যাম্পাসেই থাকার কথা।
তুহিন ওয়াদুদ জানান, তিনি এক হাজার ৩০০ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ২০০ কার্যদিবসে তার অফিসে উপস্থিত ছিলেন।
নম্বর বন্ধ পাওয়ায় উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Comments