প্রথম দিনে ভ্যাকসিন পেলেন প্রায় ২ লাখ ভারতীয়
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভারত করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। গতকাল শনিবার প্রথম দিনে ভারতজুড়ে প্রায় ২ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকাদান কার্যক্রমে প্রথম দিন ১ লাখ ৯১ হাজার ভারতীয়কে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রথম দিনে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া। সরকারি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে এখনও ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা আছে। তাই সংখ্যাটি প্রত্যাশার তুলনায় কম।
‘কর্মসূচি সফল হয়েছে’ উল্লেখ করে তারা আরও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। তবে কর্মসূচি চলাকালে ‘কোউইন’ সফটওয়্যারে সমস্যা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
গতকাল সকালে মণীষ কুমার নামের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের বৃহৎ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন সকাল থেকে এক সঙ্গে ৩ হাজার ছয়টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেসময় তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে গুজবে কান না দিতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, টিকাদান শুরু হলেও মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল এই দেশটিতে এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন অন্তত দেড় লাখ।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর আগস্টের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো সম্মুখসারির তিন কোটি কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর, পর্যায়ক্রমে পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও শারীরিক ঝুঁকিতে থাকা ২৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ভ’ ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
Comments