বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনে খুবির দুই শিক্ষার্থী
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনে বসেছেন।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মোবারক হোসেন নোমান এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ইমামুল ইসলাম। তারা বলেন, অন্যায্য শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনে বসেছেন তারা।
জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির দায়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপরই দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় তা আমলে না নেওয়ায় আমরণ কর্মসূচি শুরু করলেন ওই দুই শিক্ষার্থী। একইসাথে ফের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৫ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
দুই শিক্ষার্থী বলেন, গত শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম আমরা, অন্যায্য শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য। কিন্তু প্রশাসন শাস্তি প্রত্যাহার করেনি। তাই আজকে থেকে আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, প্রক্রিয়া মেনে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকেও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে এর জবাব দিতে হবে। কিন্তু, তারা তা না করে অনশনে বসেছে।
Comments