ঢাকায় হবে ৩৩০ টিকাদান কেন্দ্র

ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে অন্তত ৫০টি হাসপাতালে প্রায় ৩৩০টি টিকাদান কেন্দ্র হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

তারা জানান, যারা ভ্যাকসিন দেবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ ও সুরক্ষা বক্স কেনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের ৩২০ থেকে ৩৩০টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে একই দিনে সবগুলো কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে না। ধীরে ধীরে সবগুলো কেন্দ্র কাজ শুরু করবে।’

চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৩০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রায় ২০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে টিকাদান কেন্দ্র হবে।

রাজধানীর বাইরে সরকারি এবং বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এই ভ্যাকসিন প্রকল্পে সারাদেশে মোট সাত হাজার ৩৪৪টি দল কাজ করবে। প্রতিটি দলে ছয় জন সদস্য থাকবেন। যাদের মধ্যে দুই জন ভ্যাকসিন দেবেন এবং বাকি চার জন থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি দল দৈনিক প্রায় ১৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেবে।

ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের গুজব যেন না ছড়ায়, সেজন্য নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়াও, ভ্যাকসিন পরিবহন ও ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব শামসুল হক মৃধা জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য এক সভায় টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।

শামসুল হক জানান, অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি দল এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।’

গত শনিবার থেকে বিশ্বের বৃহত্তম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করে ভারত। ভারতে কোভিড-১৯ যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থাকা এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম দিনে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

গত বছরের ৫ নভেম্বর সেরাম ও বেক্সিমকোর সঙ্গে সরকারের সই করা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে, সেরাম থেকে প্রতি ডোজ চার ডলার হারে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুসারে, সেরাম থেকে ছয় কিস্তিতে জেলা স্তরের ইপিআই স্টোরেজে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন প্রথম কিস্তিতে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে।

আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে আট থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

2h ago