রেফারিং নিয়ে কথা বলতে চাই না, তাহলে পুনরাবৃত্তি হবে: কোমান
বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর বলেছিলেন, রেফারিং নিয়ে কোনো অজুহাত দ্বার করাতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ডাগআউটে দাঁড়ানোর কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পরই বাস্তবতা টের পেয়েছেন। পরে এ নিয়ে অনেকবারই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রোনাল্ড কোমানকে। আগের দিন সুপার কোপার ফাইনাল নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করার যথেষ্ট কারণ ছিল তার। কিন্তু তা করেননি। কারণ তাহলে তা পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবেন বলে জানান এ ডাচ কোচ।
রোববার রাতে সেভিয়ার মাঠে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার কোপার শিরোপা জিতে নেয় অ্যাথলেতিক বিলবাও। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালের শেষদিকে হতাশা বাড়িয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বার্সা অধিনায়ক মেসি। বিলবাওয়ের আসিয়ের ভিয়ালিবরে তার পথ আটকালে মেজাজ হারিয়ে তার মাথার পিছনে আঘাত করেন। পরে ভিএআর দেখে মেসিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি হেসুস গিল মানজানো।
ইনজুরির কারণে সেমি-ফাইনালে না খেলা মেসির ফাইনালে থাকা নিয়েও শঙ্কা ছিল। কিন্তু হালকা চোট নিয়ে খেলতে নামেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে চেনা ছন্দে ছিলেন না। তার উপর তার পায়ে বল গেলেই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা আক্রমণ করেন। মোট ২৪টি ফাউলের অধিকাংশই করা হয় তাকে। তাই বেশ কয়েকবারই রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু রেফারি এ ব্যাপারটিকে পাত্তা দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোমান বলেন, 'এটা ভালো যদি আমরা এ নিয়ে কথা না বলি। কারণ যদি বলি তাহলে এটা কেবল পুনরাবৃত্তি হবে। আর আমি এটা করতে চাইছি না। আমি আমার মন্তব্য দিতে রাজি নই।
আর মেসির লাল কার্ড নিয়ে তার ভাবনা জানতে চাইলে বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি (মেসি) কি করেছে। আমি ঠিক জানি না তাকে কতগুলো ফাউল করা হয়েছে। সে ড্রিবল করে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। আমি তাকে ক্ষমা করব কি-না? আমাকে ঘটনাটা আগে দেখতে হবে।'
ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্ত মেসির খেলা না খেলা নিয়ে অনেক গুঞ্জনই ছিল। শেষ মুহূর্তে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে খেলবেন কি-না তা বোঝার মতো যথেষ্ট জ্ঞান তার রয়েছে বলে মনে করেন কোমান, 'এতো বছর ফুটবল খেলার পর সে জানে কখন সে খেলতে পারবে, কখন সে পারবে না। সে খেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এটাই হয়েছে।'
Comments