বাধা উপেক্ষা করে যু্ক্তরাষ্ট্রের পথে হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীরা

গুয়েতেমালার সেনা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পরও যু্ক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হন্ডুরাসের দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসন-প্রত্যাশীরা তাদের পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।
Hondurans
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে গুয়েতেমালার নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ। ১৭ জানুয়ারি ২০২১। ছবি রয়টার্স

গুয়েতেমালার সেনা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পরও যু্ক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হন্ডুরাসের দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসন-প্রত্যাশীরা তাদের পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রোববার গুয়েতেমালার ভেতরে সীমান্তবর্তী চিকুইমুলা এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যারিকেড অতিক্রম করতে গেলে হুন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সেসময় নিরাপত্তা রক্ষীরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জও করে।

মেক্সিকোর প্রভাবশালী দৈনিক মিলেনিও-র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, পুলিশি হামলার শিকার হয়েও অভিবাসন-প্রত্যাশীরা আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন।

হন্ডুরাসের অধিবাসী কার্লোস ফ্লোরেস মিলেনিও’কে বলেছেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আমার দেশে কোনো কাজ নেই। সেখানে কিছুই করার নেই।’

করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক সামুদ্রিক ঝড়ে হন্ডুরাস বিপর্যন্ত হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Honduran woman
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আশায় সন্তানকে পিঠে নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন হন্ডুরাসের দারিদ্রপীড়িত এক মা। ১৬ জানুয়ারি ২০২১। ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকোর অভিবাসন ইনস্টিটিউট আইএনই গণমাধ্যমকে বলেছে, গুয়েতেমালার সঙ্গে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তের তাবাসকো রাজ্যে হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সম্ভাব্য আগমন ঠেকাতে জাতীয় রক্ষীদের সতর্কাবস্থায় রেখেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংবাদ প্রতিবেদন মতে, গত বছর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ অবরাদোর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতীজ্ঞা করেছিলেন যে তার দেশ দিয়ে কোনো নতুন অভিবাসন-প্রত্যাশীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তবে আগামী বুধবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন ক্ষমতায় এলে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট কী ভূমিকা পালন করবেন তা এখনো বলা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য সংবাদ প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গুয়েতেমালার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার আগে হন্ডুরাসের অভিবাসন-প্রত্যাশীরা প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এসেছিলেন।

হন্ডুরাসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এল প্রোগ্রেসো শহরের বাসিন্দা রাফায়েল সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্র গুয়েতেমালা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করল তা খুবই দুঃখজনক।’

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত শনিবার কয়েক শ অভিবাসন-প্রত্যাশী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। গতকাল সকালে অন্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সেসময় অভিবাসন-প্রত্যাশী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও অভিবাসন কর্মকর্তারা আহত হন বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, গুয়েতেমারায় সংঘর্ষের পরও হন্ডুরাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া অভিবাসন-প্রত্যাশী ও রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রার্থীরা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিষয়ে তাদের আশা প্রকাশ করছেন।

আরও পড়ুন:

পায়ে হেঁটে ৮ হাজার হন্ডুরান যুক্তরাষ্ট্রের পথে

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago