আর স্পিন নির্ভর থাকবে না বাংলাদেশ
এক সময় বাংলাদেশ দলের পরিচয়ই ছিল যা। অতিমাত্রায় স্পিনার খেলিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ছিল চিরায়ত কৌশল। বিশেষজ্ঞ তিন স্পিনার একাদশে দেখে গেছে হরহামেশা। সেই আদল থেকে একদম বেরিয়ে আসার কথা জানালেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্কোয়াডে ছয় পেসার রাখার কারণ হিসেবে জানান, বাড়তে যাচ্ছে পেস নির্ভরতা।
তিন ওয়ানডের জন্য ১৮ জনের দলে ছয়জন বিশেষজ্ঞ পেসার রেখেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষে এত পেসার দেখে কিছুটা চমকে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরাও। কেবল স্কোয়াডে নয়, একাদশেও বাড়বে পেসারদের আধিক্য।
সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানান, অন্তত তিন পেসার ছাড়া আর তারা ওয়ানডেতে নামবেন না, ‘কোন সন্দেহ নেই আমরা ওয়ানডেতে অন্তত তিন পেসার খেলাতে চাই। তিন পেসার ছাড়া আমরা ওয়ানডে খেলবে বলে আর মনে হয় না। এখন আমাদের হাতে দুর্দান্ত কিছু তরুণ আছে। যেমন শরিফুল, হাসান মাহমুদ। রুবেল, মোস্তাফিজও ভাল করছে। তাসকিন উন্নতির ছাপ রাখছে। অনেকেই জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে।’
পেসার বাড়ানোর চিন্তা অ্যাওয়ে সিরিজ ঘিরেও। ফেব্রুয়ারি-মার্চেই নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে পেসারদেরই রাখতে হবে মূল ভূমিকা। আগেভাগেই তাই তৈরি হতে চায় দল। স্পিন নির্ভরতা ছাপিয়ে বাড়াতে চায় পেস শক্তি, ‘ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে তারা (তরুণ পেসার) যাতে সুযোগ পায়। সারাক্ষণ স্পিন শক্তিতে খেলবে আমরা এমন দল থাকতে চাই না। ছয় সপ্তাহের মধ্যে আমরা নিউজিল্যান্ডে যাব। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারে সেখানে কেবল একজন স্পিনার খেলানো যাবে। কাজেই আমাদের পেসারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।’
পেস আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনরা। দলে নতুন ঢুকেছেন শরিফুল ইসলাম আর হাসান মাহমুদ। এরমধ্যে সবগুলো ম্যাচে তিনজন করে খেলবেনই।
২০ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডে।
Comments