খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, গ্রন্থাগার, অতিথি ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে ২০১৯ সালের শেষ দিকে উপাচার্য মো. ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। সে বছর ডিসেম্বর মাসে ৪৫ জন শিক্ষক রেজিস্ট্রারের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানান। কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, অপরাজিতা হল, প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, গ্রন্থাগার ভবন, অতিথি ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবন নির্মাণে দুর্নীতির প্রমাণসহ অভিযোগ দেন এই শিক্ষকরা।
কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন নির্মাণে দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই গঠিত তদন্ত কমিটির ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন তুলে ধরেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভবনের ছাদ সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পুরু হওয়ার কথা থাকলেও করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে চার ইঞ্চি। ফলে এক বছরেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ প্রয়োজনীয় পুরুত্বের না হওয়ায় ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মত দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং অভ্যন্তরীণ প্রকৌশলীদের দুর্নীতিকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নির্মাণে দুর্নীতির চিত্রও তুলে ধরেন শিক্ষকরা। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, দরপত্রে অনিয়ম করে বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানকে হল নির্মাণ কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়। দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠলে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দরপত্র বাতিল করে আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আবার জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হয়।
শিক্ষকেরা বলেছেন, ‘দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আচরণ ছিল বিস্ময়কর এবং সন্দেহজনক। এই কমিটির মাধ্যমে বঙ্গমাতা হল নির্মাণ কাজে দুর্নীতির সদর দরজা খুলে যায়।’
এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিক থেকে অভিযোগ আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ভবন নির্মাণে ২৩টি ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ২৩টি সংস্কার প্রস্তাব করে। কাজ বুঝে পাওয়া সাপেক্ষে জামানতের অর্থ ছাড় করতে বলে তদন্ত কমিটি। কিন্তু, ভবনে ত্রুটি থেকে যাওয়ার পরও জামানতের সিহংভাগ অর্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে অপরাজিতা হলে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মানসম্মত বৈদ্যুতিক ক্যাবল ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনার অভিযোগ তোলেন শিক্ষকরা। ঠিকাদার বরাবর খুবির প্রধান প্রকৌশলীর চিঠিতে এই দুর্নীতির প্রমাণ থাকার কথা উল্লেখ করেন তারা। প্রধান প্রকৌশলী চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘অপরাজিতা ছাত্রী হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
এই বিষয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং জামানতের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ভবনে বৈদ্যুতিক কাজে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির কথা অভিযোগে জানান। রেজিস্ট্রারকে তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ২০১৩ সালের জুলাই মাসে উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের বৈদ্যুতিক কাজে প্রায় ৪৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বৈদ্যুতিক কাজে প্রায় ৮৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং পাম্প হাউজের বৈদ্যুতিক কাজে প্রায় দুই লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের একই প্রকৌশলী ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ জানান। খুলনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ করে তিনি জানান, জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের বৈদ্যুতিক কাজেই ৬০ লাখ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘বৈদ্যুতিক ক্যাবল টানার ঠিক আগে আমাকে একাডেমিক ভবন-৩ সহ অন্যান্য সাইট থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এবং ঠিকাদারদের দুর্নীতির সুযোগ করে দেওয়া হয়। বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার না করেই একাডেমিক ভবন-৩ এর জন্য প্রায় ৩৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল নেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগে তিনি বলেছেন, শার্লি ইসলাম লাইব্রেরিতে নতুন ক্যাবলের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে জাহাজের পুরানো ক্যাবল। এছাড়া, আরও অনেক দুর্নীতির প্রমাণ হাতে থাকার উল্লেখ করেছেন তিনি।
অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, তা আগেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে তার তদন্ত হয়। তৃতীয় একাডেমিক ভবনের কাজে ত্রুটি ছিল। সেসব প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষকদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক ছিল কিনা তা বলতে পারব না। আমরা তো আগেই আইডেন্টিফাই করেছি। তারা অভিযোগ দিল বলে আমরা আইডেন্টিফাই করেছি, সেটা বলব না। প্রশাসনের কাছে ত্রুটি আগেই ধরা পড়েছিল। পরে তারা অভিযোগ দিয়েছিল, একটা কিছু দেওয়া দরকার ছিল, সেই হিসাবে।’
২০১৯ এর ডিসেম্বরে রেজিস্ট্রার বরাবর শিক্ষকদের ওই অভিযোগ থেকে দুর্নীতির কথা জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা। ওই মাসেই কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। পরে ২০২০ এর প্রথম দিন থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে ছিল: ছাত্র বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ওই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষকও সংহতি জানান।
ছাত্রদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮তম ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামকে (১৭তম ব্যাচ) ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয় খুবি প্রশাসন। আন্দোলনের সময় শিক্ষকদের প্রতি অসদাচরণ, তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেন। প্রশাসন শাস্তি বাতিল না করায় ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অনশন শুরু করেছেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা আন্দোলনে সংহতি জানানো শিক্ষকদের মধ্যে চার জনকে গত বছরের ১৩ অক্টোবর কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য, কুৎসা রটানো এবং উসকানিমূলক কথা প্রচার করেছিলেন তারা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে অন্যান্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো থাকার পরও তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
পরে ওই শিক্ষকরা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেন। অপসারণের কথা জানিয়ে এরপর গতকাল তাদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক তাদের অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন অপসারণ করা হবে না, আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে তা জানাতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় আমাকে ইমেইলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বাসায় চিঠি এসেছে। সেখানে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপসারণের কথা জানানো হয়েছে এবং ২১ জানুয়ারির মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের কমপক্ষে ১০ দিন সময় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।
রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগকারী শিক্ষকদের একজন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করে। ওই ভবন নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে টেলিভিশন টক শোতে উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছে। সেখানে উপাচার্যকে আহ্বান জানিয়েছি দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে।’
শিক্ষক অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুটা স্পেশাল সিন্ডিকেট মিটিং ডাকা হয়েছে তাদের অপসারণের জন্য, এটা খুবই অস্বাভাবিক। তারা যদি কোনও অন্যায় করে থাকে, তদন্তে যদি তা প্রমাণ হয়, স্বাভাবিকভাবে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে সেগুলো আসতে পারে। কিন্তু, তাদের জন্য স্পেশাল সিন্ডিকেট ডাকা, তড়িঘড়ি করাটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়। তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য। মনে হয়েছে তিন জনকে শাস্তি দেওয়াটাই আসল উদ্দেশ্য।’
দুর্নীতির অভিযোগকারীদের মধ্যে আরেক শিক্ষক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা রহমান বলেন, ‘অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা জানার পর, প্রশাসনকে তা জানানো আমাদের দায়িত্ব মনে করেছি।’
‘তবে, এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কোনও যোগসূত্র নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যে তিন শিক্ষককে অপসারণ করা হচ্ছে, তারাও নির্মাণকাজে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কোনো সংযোগ আছে, সেটা ঠিক না।’
‘অপসারণ কোনো সমাধান নয়। শিক্ষকদের মধ্যে কেউ যদি অন্যায় করে, তাকে শাস্তি দেওয়ার অনেক উপায় আছে। বিশেষ করে দুই নবীন নারী শিক্ষককে সুযোগ দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক হোসনে আরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময়ে তারা যা করেছিলেন তা উল্লেখ করেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। তাদের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা তদন্ত কমিটিকে বক্তব্য দিতে হাজির হননি। সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ, শিক্ষক অপসারণ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মোবাইলে আজ দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। রাতে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার জবাব পাওয়া যায়নি।
অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি জানতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপপরিচালক নাজমুল হাসানের মোবাইলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রথমে এই প্রতিবেদক ও পরে দ্য ডেইলি স্টার ঢাকা অফিস থেকে কয়েকবার ফোন করলে, তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইল ফোনে মেসেজেরও উত্তর দেননি।
উল্লেখ্য, মো. ফায়েক উজ্জামান এখন দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ২০১০ সালে তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর দুই মেয়াদে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ পদে রাখে সরকার। আগামী ২৭ জানুয়ারি তার নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের শাস্তি শিক্ষক অপসারণ
Comments