প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে বাংলাদেশের খরচ ৫ ডলার

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আমদানিতে পাঁচ ডলার খরচ হবে বাংলাদেশের। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে দামের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
ছবি: রয়টার্স

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আমদানিতে পাঁচ ডলার খরচ হবে বাংলাদেশের। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে দামের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।

তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী সরকারের পক্ষে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন কিনতে মন্ত্রিসভার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি গতকাল এক হাজার ২৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম পরিশোধে গতকাল যে অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাতে হিসাব অনুযায়ী প্রতি ডোজের দাম পড়ে প্রায় ৪২৫ টাকা। তবে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও অর্থমন্ত্রী ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। দামের ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এগুলো নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় ও সিনিয়ররা অনেক কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমার আর বলার কিছু নেই।’

একই বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিবসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাকে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তারা কোনো জবাব দেননি।

গতকাল ভারত থেকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। ভারত সরকার উপহার হিসেবে এসব ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আগামী ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা আছে। ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছাবে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago