সুন্দরবনের লাউভোলা মাছে লাখপতি রফিকুল
সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে রফিকুল ইসলামের জালে ধরা পড়েছে শতাধিক লাউভোলা মাছ। আর তাতেই ভাগ্য খুলেছে তার। এই মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন টেংরাখালি গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি জানান, তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন রায়মঙ্গল নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নদীতে জোয়ার আসে। ওই জোয়ারে জাল ফেললে তাতে ধরা পড়ে এক ঝাঁক লাউভোলা মাছ। একসঙ্গে জালে ধরা পড়া ১২৬টি মাছের ওজন হয়েছে এক হাজার ৫১ কেজি। প্রতিটি মাছের ওজন সাত থেকে ১৭ কেজি পর্যন্ত। এগুলো তিনি পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
একই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নূর হোসেন গাজী মাছগুলো কিনে শ্যামনগর বংশীপুর সোনার মোড়ের মৎস্য আড়তদার হারুন উর রশিদ কাছে ছয় লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
একদিনে এত মাছ বিক্রি করে একসঙ্গে মোটা অংকের টাকা পেয়ে রফিকুল ইসলামের পরিবারে এখন আনন্দের জোয়ার বইছে।
ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ জানান, সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ভোলামাছ খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি এই মাছের চাহিদা ও মূল্য চড়া হওয়ার মূল কারণ এই মাছের ফুলকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। গ্রেড অনুযায়ী প্রতি কেজি ফুলকার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
লাউভোলা মাছের ফুলকা দিয়ে প্রসাধনী ও মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয় বলেও জানান তিনি।
Comments