কৃষক বিদ্রোহ: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র‍্যালি

আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশটির নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা একটি ট্র্যাক্টর র‍্যালি করবে।
ট্রাক্টর নিয়ে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয় কৃষকদের আন্দোলন। ৯ ডিসেম্বর ২০২০। ছবি: রয়টার্স

আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশটির নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা একটি ট্র্যাক্টর র‍্যালি করবে।

গতকাল শনিবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানী দিল্লিতে ১০০ কিলোমিটার ট্র্যাক্টর র‍্যালির জন্য দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

তবে তাদের এই দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব বলেন, ‘কৃষকরা লিখিতভাবে আমাদের কোনো রুট দেয়নি। আমরা লিখিতভাবে কোনো রুট পেলে আপনাদের জানাবো।’

কৃষি ইউনিয়ন ও পুলিশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর কৃষক নেতা অভিমন্যু কোহর জানান, দিল্লির গাজীপুর, সিংহু ও টিকরি সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ট্র্যাক্টর র‍্যালি শুরু হবে। পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরেক কৃষক নেতা দর্শন পাল জানান, দিল্লি সীমান্ত পয়েন্টে স্থাপন করা ব্যারিকেডগুলো ২৬ জানুয়ারি সরিয়ে নেওয়া হবে। কৃষকরা রাজধানীতে প্রবেশের পর ট্রাক্টর সমাবেশ করবেন।

দেশটিতে গত সেপ্টেম্বরে নতুন তিনটি কৃষি আইন পাস হওয়ার পর কয়েক লাখ কৃষক এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন।

কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর কয়েক হাজার কৃষক নয়াদিল্লির ওপর দিয়ে ট্রাক্টর র‍্যালি করার পরিকল্পনা করছেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশটির শক্তিমত্তা দেখাতে দিল্লিতে বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশস্ত্র বাহিনীর ওই কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন।

প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভ সমাবেশ সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। তবে কৃষক নেতারা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ করবেন এবং পুলিশের কাছে রাজধানীতে প্রবেশের জন্য অনুমতি চাইবেন।

গত বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক প্রতিনিধিদের দশম বৈঠকে কৃষকদের শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, কৃষকরা অবিলম্বে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে আগামী দেড় বছরের জন্য ওই তিনটি কৃষি আইন স্থগিত করা হতে পারে।

এর পরদিনই কেন্দ্রের সঙ্গে একাদশ বৈঠকে কৃষকরা জানান, দেড় বছরের জন্য স্থগিত নয়, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই তারা অনড় থাকবেন৷

বৈঠকের পর কৃষকদের এক নেতা দর্শন পাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার আইন স্থগিতের প্রস্তাব করায় এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।’

নতুন কৃষি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বাড়বে বলে সরকার দাবি করলেও আন্দোলনকারী কৃষকরা বলছেন, নতুন আইন সরকারের সর্বনিম্ন দামে ফসল কেনার চলমান ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে। এর ফলে বড় করপোরেটগুলোর কাছে ক্ষুদ্র কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়বেন।

Comments

The Daily Star  | English

Power supply may not improve anytime soon

The power supply situation has further deteriorated across the country as another power plant has completely shut and there is no sign of increasing generation in the immediate future.

6h ago