‘পাটশিল্পসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষা গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার’

১১ দফা ও ৬ দফা দাবির আন্দোলনের পটভূমিতে ১৯৬৯ সালে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার হলো পাটশিল্পসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সকাল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থান দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

১১ দফা ও ৬ দফা দাবির আন্দোলনের পটভূমিতে ১৯৬৯ সালে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার হলো পাটশিল্পসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষা।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সকাল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থান দিবসে সংগ্রাম পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

তারা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে রক্ষা করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। এই খাতকে আমাদের ভবিষ্যৎ শোষণমুক্তির ও স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ হিসেবে দেখতে হবে।

তারা অবিলম্বে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকায়ন করে চালু ও সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানান।

তারা বলেন, ১১ দফার পাঁচ নং দাবি ছিল ব্যাংক-বীমা-পাট ব্যবসা ও বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ। সাত নং দাবিতে ছিল শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি ও বোনাসসহ রেশন, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। শ্রমিক স্বার্থবিরোধী আইন প্রত্যাহার করে এবং ধর্মঘটের অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে। এছাড়া স্বায়ত্তশাসন, নির্যাতন বিরোধী, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী এবং কৃষক স্বার্থের পক্ষে দাবি ছিল।

তারা আরও বলেন, ৫১ বছর পরেও আমরা দেখছি- এসব দাবি স্বাধীনতার পর আদায় হলেও, পরবর্তীতে দেশের নতুন শাসকরা কমবেশি তা অবমাননা করছেন। লুটেরারা এদেশের জাতীয়করণ করা পাটকল-চিনিকল-ব্যাংক-বীমা দুর্নীতি ও ভুলনীতির মাধ্যমে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বিরাষ্ট্রীয়করণ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে তারা বলেন, ১৯৬৯-এর এই দিনে পাটকলসহ শ্রমজীবীরা লাখো মানুষের মিছিল গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত করতে অন্যতম অবদান রাখে। এই শ্রমজীবীদের উপেক্ষা করে দেশে আমলা আর লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে দেশ ও শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচাতে শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী। শ্রমিক নেতা আসলাম খানের পরিচালনায় এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক রাশেদ আল তিতুমির, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি স্কপের অন্যতম নেতা কামরুল আহসান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি প্রবীণ শ্রমিক নেতা মাহাবুব আলম, প্রবীণ শ্রমিক নেতা আ. কাদের হাওলাদার, সিপিবির সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Public medical colleges: 86 doctors, 136 students punished since August 5

Over the last two months, at least 86 physicians and 136 medical students at eight public medical colleges and hospitals across the country have faced different punitive actions over various allegations, including “taking a stance against” the quota movement.

1h ago