‘চীন ভ্যাকসিন ট্রায়ালের খরচ চাওয়ায় ভারতমুখী বাংলাদেশ’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাতে খরচের টাকা চেয়েছিল চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খরচ ভাগ করে নিতে বলেছিল চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক। এরপরই বাংলাদেশ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পেতে ভারতের সঙ্গে দ্রুত আলাপ-আলোচনা চালায়। এছাড়াও চীনা ‘করোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঢাকা ও দিল্লিতে অবস্থিত কূটনীতিকদের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০২০ সালের অক্টোবরের দিকে ঢাকায় ‘করোনভ্যাক’ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিল বেইজিং।
ওই চুক্তির একটি শর্ত ছিল ঢাকাকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের খরচ ভাগ করে নিতে হবে।
ঢাকা থেকে ট্রায়ালের খরচ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হলে চীনা প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল যে, সিনোভ্যাক যেসব দেশে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালিয়েছে সব দেশের জন্যই একই শর্ত রাখা হবে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম হতে পারে না।
এরপরেই ঢাকা দিল্লির কাছে দ্রুত অগ্রসর হয় এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহের জন্য মোদি সরকারের মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে।
গত ২১ জানুয়ারি ঢাকায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে পাঠায় ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতেই ঢাকায় ভ্যাকসিন উপহার পাঠানো হয়েছে। উভয় দেশই কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে পরষ্পরকে সহযোগিতা করে আসছে।
এদিকে, শ্রীলঙ্কা ও নেপালও চীনের ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। পাশপাশি ভারত থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বার্বাডোসের মতো অনেক দূরের ছোট দেশও ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের পেতে আগ্রহ জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি গত ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দুই লাখ ডোজ কিনতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন, অর্ধেক ডোজের দাম পরিশোধও করেছেন।
এদিকে, ভারত ইতিমধ্যেই পার্শ্ববর্তী সাতটি দেশে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। সবার আগে ২০ জানুয়ারি ভুটানে ও সবার শেষ ২২ জানুয়ারি মরিশাসে ভারতের ভ্যাকসিন পৌঁছেছে।
Comments