দারিদ্র্যের হার ২২-২৩ শতাংশের বেশি নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

ma_mannan.jpg
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। স্টার ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি প্রণোদনার প্রবাহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পৌঁছায়নি।

তবে করোনাকালীন সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার রাজধানীর এফডিসিতে ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রথমদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রণোদনা দিতে গিয়ে তাড়াহুড়ার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তিরা সেই প্রণোদনা পায়নি। এতে ১০ থেকে ১১ শতাংশ মিস ফায়ারিং হয়েছে।’

‘তবে আমাদের ব্যাংকিং চ্যানেল অত্যন্ত ফরমাল হওয়ায় কখনও কখনও একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে করোনার প্রণোদনা পৌঁছাতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমরা যা কিছু করতে চাই না কেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা অনেক সময় পিছিয়ে দেয়’, বলেন তিনি।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে দারিদ্রের হার ৪১ শতাংশ বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, এ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বেশি করে খোঁজখবর নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে দারিদ্রের হার ২২-২৩ শতাংশের বেশি নয়।’

তিনি বলেন, ‘বিনা মূল্যে ঘর প্রদানে কোথাও কোথাও দু-একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলেও, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গৃহহীনদের জন্য এই ধরনের ব্যাপক আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়।’

সরকার ভবিষ্যতে আরও বেশি গতিশীলতার সঙ্গে তার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে প্রণোদনা প্রদান করা, যেসব শিল্প মালিকরা সময়মতো পূর্বের ঋণ পরিশোধ করেনি, তাদের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ভালো করে বিচার বিশ্লেষণ করা, বড় বড় রপ্তানীমুখী শিল্পে প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করতে হবে।’

কিরণ শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা প্রদানে ১০ দফা সুপারিশ করেন।

প্রতিযোগিতায় ঢাকা কমার্স কলেজকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, আবুল বশির খান (এফসিএমএ), সাংবাদিক শাকিলা জেসমিন, আবদুর রহিম হারমাছি ও কাবেরী মৈত্রেয়।

আরও পড়ুন:

দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ, সর্বোচ্চ রংপুর রাজশাহীতে: সানেম

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

55m ago