চসিক নির্বাচন: ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪১০ ভোট কেন্দ্র, মোতায়েন হচ্ছে ৮ হাজার পুলিশ
সংঘাত-সংঘর্ষের দিক বিবেচনা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৪১০টি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। এ ছাড়াও, শহরজুড়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের ৬৭৭৩ সদস্যসহ মোতায়েন হচ্ছে আট হাজার পুলিশ।
আজ রোববার পুলিশের বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
নির্বাচনকে ঘিরে সংগঠিত তিন হত্যাকাণ্ড ও কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চার স্তরের নিরাপত্তার ছক এঁকেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এবং সে মোতাবেক কাজও শুরু হয়েছে বলে জানানা সিএমপি কমিশনার।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আমরা সহিংসতার অনেক উপাদান চিহ্নিত করেছি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করছি। এই নির্বাচনে কাউকেই সহিংস হতে দেওয়া হবে না।’
‘নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে,’ বলেন তিনি।
সিএমপি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগর ও জেলার হাটহাজারী উপজেলা মিলিয়ে ৭৩৫টি কেন্দ্র আছে। এরমধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় ১২টি কেন্দ্র আছে। আর নগরে থাকা ৭২৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে পুলিশ।
বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ জানান, এসব কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ ছয়জন করে পুলিশ সদস্য ও ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর এই বাইরে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ চার জন পুলিশ ও ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবে। এ ছাড়া, কেন্দ্রের বাইরে টহল পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তৎপর থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকবে নগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, কাউন্টার টেররিজম ও সোয়াট সদস্যরা।
চিহ্নিত অপরাধী ও বহিরাগতদের ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকা ও আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রতিদিন বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান চলমান।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অতীতের সংঘাতের ইতিহাস ও সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড বিবেচনায় ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টির মতো ওয়ার্ডকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রোববার চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো ঝুঁকি নেই। ভোটাররা নিরাপদ, ভোট সুষ্ঠু হবে।’
Comments