বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে সাকিবের ফিফটি
ছুটি আর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে বিশ্বকাপের পর আর ওয়ানডে খেলাই হয়নি সাকিব আল হাসানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লম্বা সময় পর ফিরে প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি করার সুযোগ তেমন ছিল না। তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় সেই কাজটা সহজেই করলেন বাংলাদেশের সফলতম ক্রিকেটার। তিন থেকে চারে নেমে দেখালেন নতুন ব্যাটিং পজিশনেও সাবলীল তিনি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে কিছুটা মন্থর দেখা গেছে সাকিবের ব্যাট। ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি স্পর্শ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৭৭ বল । ফিফটির পরই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন তিনি। রেমন রেইফারের বলে বোল্ড হলে শেষ হয় সাকিবের ৮১ বলে ৫১ রানের ইনিংস। ৩৭তম ওভারে ১৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। অবশ্য অপরাজিত থাকলেও ক্যারিবিয়ানরা সেদিন মাত্র ১২২ রান করায় ফিফটি পাওয়া সম্ভব ছিল না তার।
পরের ম্যাচেও প্রতিপক্ষ করতে পারে মাত্র ১৪৮ রান। চারে নেমে সাকিবের জন্য সেদিনও খুব বেশি রানের পরিস্থিতি ছিল না। তবু ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব।
এই ম্যাচে ৩৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর নেমেছিলেন। প্রথম ওভারে লিটন দাস ও পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়ে তখন কিছুটা ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে তখন তামিমের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তুলেন তিনি। থিতু হতে শুরুতে সাকিবের লেগে যায় বেশ কিছুটা সময়। তবে সময়ের সঙ্গেই উইকেটে সহজ হয়েছেন এই বাঁহাতি।
৮০ বলে ৬৪ করা তামিম আউট হলে ভাঙ্গে তাদের ৯৩ রানের জুটি। তামিম আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন শীর্ষ অলরাউন্ডার। ফিফটিতে পৌঁছাতে সাকিব মেরেছেন ৩ বাউন্ডারি।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক ছিলেন সাকিব। তিন নম্বরে ব্যাট করে ৮ ম্যাচেই করে ফেলেন ৬০৬ রান। এই পজিশনে এত রান করার পরও এবার উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সাকিবকে তিন নম্বর থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানে সুযোগ পাওয়া শান্ত তিন ম্যাচেই থেকেছেন মলিন।
Comments