সিলেটে করোনা পরীক্ষা: ২ পরীক্ষায় বিপরীত ফল, তৃতীয়বারে ঝুলছে ভাগ্য
যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট আসা ২৯ প্রবাসীর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় একদিনের ব্যবধানে দুই রকম ফলাফল আসায় পরীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তারা সত্যিই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না জানতে এখন তাদের তৃতীয় বার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি সিলেট আসা ১৫৭ জন যাত্রীর কোয়ারেন্টিন শেষে বেসরকারি সীমান্তিক হাসপাতালের ল্যাবে সোমবার তাদের মধ্যে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
একসঙ্গে এতজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার এই ২৮ জনের নমুনা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে তাদের মধ্যে ২৫ জনের নেগেটিভ ফলাফল আসে।
একদিনের ব্যবধানে পাওয়া বিপরীত ফলাফলে এখন বিপাকে পড়েছেন সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাজ্য ফেরত এই ২৮ জন যাত্রী।
এছাড়া আক্রান্তরা কেউ করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন বহন করছেন কী না তা শনাক্ত করতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সাত সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার সিলেট এসেছে।
আজ বুধবার তাদের সবার নমুনা তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকায় আইইডিসিআরের ল্যাবে।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একদিনের ব্যবধানে বিপরীত ফলাফল আসায় আপাতত আইইডিসিআরের ফলাফলের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই ফলাফল পেলেই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। তবে আজ রাতে আর ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না।’
এদিকে সীমান্তিক হাসপাতালের ল্যাবে পজিটিভ আসা ২৮ জনের সাথের অনেক যাত্রীর পরীক্ষা সেদিনই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ল্যাবে করা হয়, কিন্তু সেখানে সবার নেগেটিভ আসে।
এ অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির করোনাভাইরাস পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব সংশ্লিষ্ট একজন অধ্যাপক।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ফেরতদের দুইবারে দুইরকম ফলাফল আসার পর আমরা তাদের পিসিআর মেশিন পরীক্ষা করে দেখেছি তা ঠিক আছে। হাসপাতালটি যে টেকনিশিয়ানদের দিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছে তারা কতটা ঠিকভাবে করতে পারছেন তা আসলে বোঝার ব্যাপার আছে।’
এদিকে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এই ২৮জন যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীকে এখন খাদিমনগর ৩১ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
Comments