চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

কাউন্সিলর পদে বিএনপি-জামায়াতের কেউ বিজয়ী হননি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ দলের কেউই বিজয়ী হতে পারেনি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৫৪ জন বিজয়ীর মধ্যে সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী।
Monowara_CTG_Election_27Jan.jpg
কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনোয়ারা বেগম মণি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ দলের কেউই বিজয়ী হতে পারেনি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৫৪ জন বিজয়ীর মধ্যে সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী।

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নয় জন প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিএনপি’র পাঁচ জন, জামায়াতে ইসলামীর একজন বিজয়ী হয়েছিলেন। এ ছাড়া, সংরক্ষিত পদে বিএনপি’র দুজন ও জামায়াতের একজন জয় পান।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ৫৫টি পদের মধ্যে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া, একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি।   

এবারের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী যারা

এক নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গাজী মো. শফিউল আজম; দুই নম্বর জালালাবাদে সাহেদ ইকবাল; তিন নম্বর পাঁচলাইশে মো. শফিকুল ইসলাম; চার নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে এসরারুল হক; পাঁচ নম্বর মোহরায় মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন; ছয় নম্বর পূর্ব ষোলোশহরে এম আশরাফুল আলম; সাত নম্বর পশ্চিম ষোলোশহরে মোবারক আলী; আট নম্বর শুলকবহরে মোরশেদ আলম; নয় নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে জহুরুল আলম; ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীতে নিছার উদ্দিন আহমেদ; ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীতে মো. ইসমাইল; ১২ নম্বর সরাইপাড়ায় নুরুল আমিন; ১৩ নম্বর পাহাড়তলীতে মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী; ১৪ নম্বর লালখান বাজারে আবুল হাসনাত বেলাল; ১৫ নম্বর বাগমনিরামে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন; ১৬ নম্বর চকবাজারে সাইয়েদ গোলাম হায়দার; ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়ায় মোহাম্মদ শহিদুল আলম; ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়ায় নুরুল আলম; ২০ নম্বর দেওয়ানবাজারে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী; ২১ নম্বর জামালখানে শৈবাল দাশ; ২২ নম্বরে এনায়েত বাজারে সলিম উল্লাহ; ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলীতে মোহাম্মদ জাবেদ; ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদে নাজমুল হক; ২৫ নম্বর রামপুরে আবদুস সবুর; ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহরে মো. ইলিয়াছ; ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী; ২৮ নম্বর পাঠানটুলীতে নজরুল ইসলাম বাহাদুর; ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়িতে গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের; ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়িতে আতাউল্লাহ চৌধুরী; ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লায় জহর লাল হাজারী; ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারে হাসান মুরাদ; ৩৪ নম্বর পাথরঘাটায় পুলক খাস্তগীর; ৩৫ নম্বর বকশিরহাটে নুরুল হক; ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙায় মো. মোর্শেদ আলী; ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহরে আবদুল মান্নান; ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী; ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহরে জিয়াউল হক সুমন; ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গায় আবদুল বারেক ও ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গায় ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী।

সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মধ্যে জয়ী হয়েছেন এক নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌস বেগম; দুই নম্বরে জোবাইরা নার্গিস খান, তিন নম্বরে জেসমিন পারভীন, চার নম্বরে তছলিমা বেগম, পাঁচ নম্বরে আঞ্জুমান আরা; ছয় নম্বরে শাহীন আকতার, সাত নম্বরে রুমকি সেন, আট নম্বরে নীলু নাগ, নয় নম্বরে জাহেদা বেগম, ১০ নম্বরে হুরে আরা বেগম, ১১ নম্বরে ফেরদৌসী আকবর, ১২ নম্বরে আফরোজা জহুর, ১৩ নম্বরে লুৎফুন্নেছা দোভাষ ও ১৪ নম্বরে শাহনূর বেগম।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago