টি-টেন লিগে নেমেই শেষ ওভারে নায়ক মোসাদ্দেক
জিততে হলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। প্রথম চার বল থেকে আসে কেবল ৩ রান। মারাঠা অ্যারাবিয়ানসকে জিততে হলে শেষ দুই বল থেকেই নিতে হত ৫ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সেই কাজটা করলেন দারুণভাবে। দুই চারে খেলা শেষ করে নায়ক বনলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আবুধাবি টি-টেন লিগের প্রথম ম্যাচে নর্দান ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোসাদ্দেকদের মারাঠা অ্যারাবিয়ানস। দলকে জিতিতে ৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
দলের জয়ে অবদান রেখেছেন আরেক বাংলাদেশি। বল হাতে ২ ওভারে ১৯ রান নিয়ে মুক্তার আলি নেন ১ উইকেট।
নর্দানের ১২৭ রান টপকাতে গিয়ে মারাঠার আব্দুল শাকুর এনে দেন বিস্ফোরক শুরু। মাত্র ২৮ বলেই ৭ চার ৫ ছক্কায় তিনি করে ফেলেন ৭৩ রান। তবে আরেক পাশে পড়তে থাকে উইকেট। মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ নেমে ৮ বলে করেন ১৯।
তারা দুজন ফিরে গেলে শঙ্কা জেগেছিল। মোসাদ্দেকের ছোট কার্যকরি ইনিংসে তা শেষ পর্যন্ত উবে যায়। মারাঠার একাদশে এদিন বাংলাদেশের সোহাগ গাজিও ছিলেন। কিন্তু ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পাননি তিনি।
এর আগে ব্রেন্ডন কিং আর লেন্ডল সিমন্সের ঝড়ে নির্ধারিত ১০ ওভারে ১২৭ রানের শক্ত পূজি পেয়েছিল নর্দান। কিং মাত্র ১৩ বলে করেন ২৯। সিমন্স ৩১ বলে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ক্যারিবিয়ান নিকোলাস পুরান ৯ বলেই করেন ১৯। বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজ খেলে যাওয়া আরেক ক্যারিবিয়ান রভম্যান পাওয়েল ৭ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নর্দান ওয়ারিয়র্স: ১০ ওভারে ১২৭/২ (কিং ২৯, সিমন্স ৫৪*, পুরান ১৯, পাওয়েল ২২*; কামি ০/২৮, আহমাদজাই ০/৩১, তাম্বে ০/১৭, হাফিজ ১/১৯, মুক্তার ১/১৯, মোসাদ্দেক ০/১১)।
মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স: ১০ ওভারে ১৩১/৫ (আহমাদাই ৬, বাঙ্গাশ ৭৩, ইভান্স ৯, হাফিজ ১৯, ইশান ৮, মোসাদ্দেক ৯*, মুক্তার ৩*; থিকশানা ১/৩২, পার্নেল ০/২৯, ওয়াহাব ০/৩৭, এমরিত ১/২১, অ্যালেন ২/১১)।
ফল: মারাঠা ওয়ারিয়র্স ৫ উইকেটে জয়ী
Comments