খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে পৌঁছেছে করোনার ভ্যাকসিন
খুলনায় এক লাখ ৬৮ হাজার, সাতক্ষীরায় ৬০ হাজার এবং বাগেরহাটে ৪৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছেছে।
আজ রোববার দুপুরে প্রথম ধাপে এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করেন খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
সকাল নয়টার দিকে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির ভ্যাকসিনের চালান গ্রহণ করেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথম ধাপে খুলনায় এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। খুলনায় প্রায় দুই লাখ ৩১ হাজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে ৩৩টি আইএলআর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ১৫ ও প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে মোট ৩৩টি আইএলআরের প্রতিটিতে সাত হাজার করে ভ্যাকসিন রাখা যাবে।
তিনি আরও জানান, আজ থেকে ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, আজ পৌনে নয়টার দিকে সাতক্ষীরায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছায়। পাঁচটি কার্টুনের প্রতিটিতে এক হাজার দুইশ করে মোট ছয় হাজার ভায়েল আছে। প্রতিটি ভায়েলে ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। সেই হিসেবে পাঁচটি কার্টুনে ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আছে। জনকে দেওয়া যাবে প্রথম ধাপে। ভ্যাকসিনগুলো ওয়ালক ইন কুলার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফ্রিজটিতে একসঙ্গে ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। আরও তিনটি ফ্রিজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসে। এছাড়া সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও একটি করে ফ্রিজ প্রস্তুত আছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে আমরা বাগেরহাটের জন্য ৪৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছি। আমরা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রি-রেজিস্টার্ড মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করব। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসে ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ, সময় এবং স্থান উল্লেখ করা হবে।’
Comments