শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দুই নম্বর আসামি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের পিরোজপুরে স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডুমরিতলা গ্রামের এ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দুই নম্বর আসামি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের পিরোজপুরে স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজীব আহসানকে আহ্বায়ক করে আজ সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়।

দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব আহসান।

তিনি জানান, তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জে এম শাখার সহকারী কমিশনারকে। এছাড়া পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের এক কর্মকর্তা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

গত ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডুমরিতলা গ্রামের লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘরে আগুন লাগে। এ সময় ঘরের কেয়ারটেকার বাড়িতে না থাকায় সেটি তালাবদ্ধ ছিল। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

এ ঘটনায় ওই ঘরে ৪০ বছর ধরে বসবাসকারী মোয়াজ্জেম হোসেনের আত্মীয় লুৎফুন্নেছা (৬৫) বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করেন লুৎফুন্নেছা।

১৯৬৭ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে কর্নেল তাজের নেতৃত্বে একটি পাকিস্তানি সেনাদল এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার মরদেহ সামরিক জিপের পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনে ঢাকা সেনানিবাসে নেওয়া হয়। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।

একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগের জন্য ২০১২ সালে তাকে স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

পুড়ে গেছে শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

2h ago