'এখনও শতভাগ ফিট নন সাকিব'

স্বস্তির খবরটা পাওয়া গিয়েছিল স্ক্যান রিপোর্টে। কোনো চিড় ধরা পড়েনি। প্রথম টেস্টে তাকে না পাওয়ার শঙ্কা তখনই অনেকটা কমে যায়। পরে অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে এখনও শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাননি। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিংঙ্গো। তবে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেই সাকিব পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাবেন বলে আশাবাদী এ কোচ।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

স্বস্তির খবরটা পাওয়া গিয়েছিল স্ক্যান রিপোর্টে। কোনো চিড় ধরা পড়েনি। প্রথম টেস্টে তাকে না পাওয়ার শঙ্কা তখনই অনেকটা কমে যায়। পরে অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে এখনও শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাননি। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিংঙ্গো। তবে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেই সাকিব পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাবেন বলে আশাবাদী এ কোচ।

ইনজুরি কাটিয়ে গত শনিবার অনুশীলনে ফিরেছিলেন সাকিব। প্রথম দিন অবশ্য বোলিং করেননি। কেবল ব্যাটিং করেছেন। তবে সেখানেও মাঝেমধ্যে অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা গিয়েছে। সুইপ শট খেলতে পারছিলেন না তিনি। তবে পরের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সে অনুশীলনটাও সেরে নিয়েছেন। আর এদিন  বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ছিলেন। কিন্তু তারপরও কোথায় যেন ঘাটতি। শতভাগ প্রাণবন্ত ছিলেন এ অলরাউন্ডার।

মূলত সাকিবের ফিটনেসে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কোচ ডমিঙ্গো, 'সাকিব আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সে আমাদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের স্তম্ভ। সে বিশ্বমানের একজন অলরাউন্ডার। তিন সংস্করণে তার বিকল্প পাওয়া কঠিন। প্রস্তুতি পর্ব তার জন্য সহজ ছিল না। শেষ ওয়ানডেতে কুঁচকিতে চোট পেয়েছিল। তাকে পুনর্বাসনেও যেতে হয়েছে। এখনও সে শতভাগ ফিট নন।'

আগামী বুধবার থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। মাঝে এক দিন বাকী রয়েছে। আর সময়ের মধ্যেই সাকিবের ফিটনেস শতভাগ ঠিক হবে বলে আশা করছেন এ কোচ, 'এখনও একদিন বাকি রয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী বুধবার শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে তাকে নিয়ে মাঠে নামতে পারব। পুনর্বাসনে সে যথেষ্ট নিবেদন দেখিয়েছে। যথেষ্ট বোলিং করেছে এবং নেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছে। অস্বস্তিতে দেখা যায়নি। তাকে প্রথম টেস্টে পেতে আমরা আত্মবিশ্বাসী।'

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুঁচকিতে টান লাগে সাকিবের। বল করার সময় বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় কুঁচকিতে টান অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গেই পা চেপে ধরে মুখ বিকৃত করে ফেলেন। তবে এরপরও বলটি করেছিলেন। কিন্তু পরে আর পেরে ওঠেননি। ফিজিও মাঠে আসার পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও মাঠে থাকা সম্ভব হয়নি তার। পরে ফিজিওর সঙ্গে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন।

তবে দিন তিনেক বিশ্রামে থাকার পর ব্যথা কমে আসে। এরপর অনুশীলনে যোগ দেন। আগের দিন খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দিনে অনুশীলনে কোচ ডমিঙ্গোকে বল করেছিলেন সাকিব। আর তা দারুণ উপভোগ করেছেন এ প্রোটিয়া কোচ, 'দারুণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে একজন বিশ্বমানের বোলার। দারুণ সময় কাটিয়েছি। এবং এটি সব সময়ই ভালো পরিস্থিতি একটু হালকা করা এবং তার সঙ্গে একা কিছু সময় কাটানো।'

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

48m ago