মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এটাই উপযুক্ত সময় ছিল: এম হুমায়ুন কবির

মিয়ানমারের দীর্ঘ সামরিক শাসনের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর নিজদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য অভ্যুত্থানের এটাই উপযুক্ত সময় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সাবেক কূটনৈতিক এম হুমায়ুন কবির।
এম হুমায়ুন কবির

মিয়ানমারের দীর্ঘ সামরিক শাসনের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর নিজদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য অভ্যুত্থানের এটাই উপযুক্ত সময় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সাবেক কূটনৈতিক এম হুমায়ুন কবির।

আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘গত নভেম্বরে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই এরকম একটা আশঙ্কা ছিল। নির্বাচনে সু চির পার্টি এনএলডি বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনী সংকটে পড়ে যায়।’

‘এছাড়া, আগামী জুন মাসে বর্তমান সেনা প্রধানের অবসরে যাওয়ার কথা। এ অবস্থায়, দেশের ওপর সু চি সরকারের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত হতে পারে বলে সামরিক বাহিনী ভেবে থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের এটাই উপযুক্ত সময় ছিল।’

গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। কিন্তু, এ সব অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান এম হুমায়ুন কবির।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাবেক এই কূটনীতিবিদ বলেন, ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা যেহেতু চলমান ছিল, আমরা আশা করছি ধীরে হলেও তার অগ্রগতি হবে। এর জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’

সেনা অভ্যুত্থানের পর, আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার বিচার আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করেন এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ ছিল দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এতদিন তারা দেশটির সরকারের পেছনে অবস্থান নেওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু, এখন সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নেওয়ার পর, মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত আর সামরিক বাহিনীর মধ্যে তৃতীয় কেউ থাকল না।’

তবে, মামলার ব্যাপারে চীন ও রাশিয়ার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেছেন এম হুমায়ুন কবির। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে। আর এমনটা হলে অর্থনৈতিক চাপে পড়তে পারে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর বিনিয়োগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তারা এ সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা কিংবা তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিলে, সামরিক বাহিনী একটা অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে,’ উল্লেখ করেন এম হুমায়ুন কবির।

Comments

The Daily Star  | English
Loss and damage is a far more complicated concept than it sounds. It has far-reaching impacts, some of which are often overlooked.

Can we finally put the Loss and Damage Fund to use?

Although the proposal for the Loss and Damage Fund was adopted at COP27, the declaration to operationalise it came at COP28.

4h ago