‘বার্সার তিন ভাগের এক ভাগ আয়ের উৎস মেসি’

messi and laporta
ফাইল ছবি

হুয়ান লাপোর্তা কিছুদিন আগে ওয়াদা করেছিলেন, লিওনেল মেসির বিষয়ে কোনো আলোচনায় যাবেন না তিনি। কিন্তু বন্ধুর দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতে মুখ না খুলে পারলেন না তিনি। বার্সেলোনার সাবেক এই সভাপতি দাবি করেছেন, কাতালান ক্লাবটির মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশের উৎস মেসি।

বার্সার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির খুঁটিনাটি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর থেকে বেশ চাপে আছেন আর্জেন্টাইন তারকা। দলটির আর্থিক দুরবস্থার জন্য ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কারণ, ক্লাবের সঙ্গে তার চুক্তি ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরোর, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি! তবে দ্বিতীয় দফায় বার্সার সভাপতি হতে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া লাপোর্তা বিশাল অঙ্কের এই চুক্তিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না।

সোমবার স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন আরএসি ওয়ানকে তিনি বলেছেন, ‘আমি যতটা সম্ভব চেষ্টা করব যেন সে থাকে। আমি আভাস পেয়েছি যে, সে বার্সেলোনায় ভালো আছেন, সে থাকতে চায় এবং সেজন্য তার একটি ক্রীড়া প্রকল্পে বিশ্বাস করা দরকার।’

‘তাকে (মেসিকে) উজ্জীবিত করতে গতকাল তাকে একটি বার্তা পাঠাই। আমি তাকে বলেছি, খবরের দিকে নজর না দিতে। তাকে আরও বলেছি, বার্সেলোনার সমর্থকরা চায় সে এখানেই থেকে যাক। সে আমাকে জবাব দিয়েছে কিনা তা অবশ্য আমি বলছি না।’

‘বার্সার বর্তমান অবস্থার কারণ মেসির চুক্তি নয়। তার পেছনে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আয়ে ভূমিকা রাখে সে।  আমরা একটি গবেষণা করে দেখেছি যে, বার্সার আয়ের এক-তৃতীয়াংশের উৎস মেসি।’

দুদিন আগে স্প্যানিশ দৈনিক এল মুন্দো দাবি করে, মেসির কারণেই তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে বার্সা। তারা আরও জানায়, খেলাধুলার ইতিহাসে এত বিশাল অঙ্কের অর্থের চুক্তি আর কখনো হয়নি।

২০১৭ সালের নভেম্বরে মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে সবশেষ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন। এল মুন্দোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মৌসুমে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো পাচ্ছেন মেসি। চুক্তির মাত্র পাঁচ মাস বাকি থাকায় তিনি ইতোমধ্যে ৫১ কোটি ১০ লাখ ইউরো পকেটে পুরেছেন।

ইতোমধ্যে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়ে বার্সা জানিয়েছে, এই ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এল মুন্দোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তারা। পাশাপাশি মেসির সমর্থনে বক্তব্য দিয়েছেন ক্লাবের কোচ রোনাল্ড কোমান ও লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাস।

Comments