সেই স্মৃতি ভুলে যেতে চান মুমিনুল

Mominul Haque & Russell Domingo
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্টের আগের দিন নিয়মিত মাঠ প্রস্তুতের সঙ্গে দেখে নেওয়া হয় আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু। জায়ান্ট স্ক্রিন পরীক্ষা করতে গিয়ে ভেসে উঠল এই মাঠের সর্বশেষ টেস্টের স্কোরকার্ড। যা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর আর পীড়াদায়ক। টেস্টের নবীন দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমেই যে হেরে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হকরা। এমনকি আফগান স্পিনে কাবু হয়ে লম্বা সময়ের বৃষ্টিও বাঁচাতে পারেনি তাদের।

টেস্ট ক্রিকেটের দুই দশকের পথচলায় এখনো শক্ত জমির উপর দাঁড়ানো যায়নি। চলমান  টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাই তলানিতে পড়ে থাকাই বাংলাদেশের আপাতত বাস্তবতা।

উইন্ডিজের মতো স্পিনে দুর্বল এশিয়ার বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের একটা কৌশল, অতি ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে নাকাল করা। সেটা আফগানিস্তানের সঙ্গে খাটাতে গিয়ে হয়েছিল হিতে বিপরীত। আফগানিস্তান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নেই। সেই ফল কোন পয়েন্ট টেবিলে তাই কোন প্রভাব ফেলেনি।

করোনার কারণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিধি কমেছে। এই আসরে কেবল তিনটাই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট আর পাকিস্তানের কাছে এক টেস্ট হারে ঝুলিতে পয়েন্ট শূন্য। বাংলাদেশ, উইন্ডিজ কোন দলই এই আসরের ফাইনালের দৌড়ে নেই। করোনার কারণে রেলিগেশন নিয়মও উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই টেস্টের দুটোতেই জিততে পারলে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।

এই সিরিজের ফল পক্ষে এলে তাই আটে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করার একটা আত্মতৃপ্তি পেতে পারেন মুমিনুল হকরা। তবে তা করতে হাতের কাছে কোন জাদুমন্ত্র নেই বলে জানালেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক, ‘দেখুন, ওরকম কোনো মন্ত্র নেই (হাসি)। মন্ত্র হলে জাদুমন্ত্র হতে হবে! আসলে এরকম কোনো মন্ত্র নেই। আগে যেগুলো শেষ হয়ে গেছে ওগুলো আর মনে রাখতে চাই না। অতীত তো অতীতই। আগে যেটা বললাম করোনার পর আমরা নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করছি। নতুন করে শুরু করবো এটাই।’

মন্ত্র না থাকলেও ভুলে যাওয়ার একটা তরিকা আছে অধিনায়কের।  আপাতত তাই ‘আফগানিস্তান বিপর্যয়’ স্মৃতি থেকে মুছে ফেলে সামনে তাকাতে চান তারা,  ‘কাল আপনি যা করেছেন, তা ভালো হোক বা খারাপ হোক মনে রাখার দরকার নেই। এটা মনে রেখে আপনি কিছু পাবেনও না। আমিও একইভাবে ভাবছি। হয়ত উত্তরটা বুঝতে পেরেছেন। আফগানিস্তানের সাথে কী হয়েছিল মনে রাখতে চাই না। কালকের ম্যাচেই মনোযোগ রাখতে চাচ্ছি।’

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর আর টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এক বছরের লম্বা বিরতি পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ খেলেছে চারটি টেস্ট। তবু ঘরের মাঠ বলেই নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন মুমিনুল, ‘অবশ্যই। ঘরের মাঠে সবসময় স্বাগতিকরা ফেভারিট থাকে। তার মানে এই নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্বল হিসেবে দেখছি। আমরা আমাদের দিকেই মনোযোগ রাখছি বেশি। আমরা মাদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করবো।’

Comments

The Daily Star  | English

Trump says Iran has 'maximum' two weeks, dismisses Europe peace efforts

Israel's war with Iran entered its second week on Friday with the Israeli military chief warning of a "prolonged campaign"

39m ago