সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা হত্যায় আ. লীগ নেতার ছেলে সাকিব গ্রেপ্তার

সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের পাঁচ মাস পর সাকিব হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাকিব সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরুর ছেলে।
Sakib.jpg
সাকিব হাসান। ছবি: সংগৃহীত

সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের পাঁচ মাস পর সাকিব হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাকিব সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরুর ছেলে।

আজ মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে পৌর মধ্যপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) নির্মল কুমার দাস।

তিনি বলেন, ‘স্কুলছাত্রী নীলা হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাকিবের জড়িত থাকার বিষয়টি বেড়িয়ে আসে। তারপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়, কিন্তু সে পলাতক ছিল। আজ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সাকিবকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বড়ভাই অলক রায়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয় স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নীলা রায়। পথে মিজানুর তাদের গতিরোধ করেন। অলককে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং জোর করে নীলাকে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যান এবং বখাটে গ্যাং লিডার সাকিব (২০) ও সহযোগী সেলিম পালোয়ানকে (২৮) সঙ্গে নিয়ে নীলাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে জান মিজান। পরে স্থানীয়রা নীলাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনার পর নীলার বাবা নারায়ণ বাদী হয়ে মিজানুর ও তার বাবা-মাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মিজানুরসহ তার বাবা-মা ও সহযোগী সেলিমকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার পর পরিত্যক্ত বাড়িটি পরিদর্শন করে দ্য ডেইলি স্টার। বাড়িতে তিন কক্ষের একটি টিনশেড ঘর আছে। কক্ষ তিনটি তালাবন্ধ এবং একটি কক্ষের লোহার দরজায় রক্তের ছাপ দেখা গেছে। এ ছাড়া, বাড়িতে আরও দুটি ছোট পরিত্যক্ত কক্ষ আছে, যেখানে মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, পরিত্যক্ত বাড়িটিতে এলাকার বখাটে গ্যাং লিডার সাকিব ও তার সহযোগীরা আড্ডা দিতো এবং বিভিন্ন অপকর্ম করতো।

ওই বাড়ির সামনে সাকিব ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো বলেও জানান তারা।

Comments