নওগাঁয় ৪র্থ দিনের মতো চলছে আইনজীবীদের ধর্মঘট, ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

নওগাঁয় আদালত চত্বরে পুলিশ সদস্যরা এক আইনজীবীকে মারধরের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি চলছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আদালতে আসা সাধারণ মানুষদের। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে নওগাঁ পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)।
নওগাঁর এসপি আব্দুল মান্নান মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইনজীবীদের ধর্মঘট আজকেও চলছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী রোববার থেকে তারা কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।’
চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিনই অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগেও, তারা পুলিশ লাইনসেই কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহার করায় এখন তাদেরকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ মুরাদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে কোর্ট চত্বরে প্রবেশ করার সময় প্রধান গেটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দেন। নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে রিকশা নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে অশালিনভাবে গালিগালাজ করা হয়।
পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব, মুক্তার হোসেনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। তাকে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনা দেখে সেখানে উপস্থিত আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে পুলিশ তাদেরও তাড়া করে। একপর্যায়ে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোদাদাদ খান পিটুসহ বাকি আইনজীবীরা এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রাইফেল তাক করে। সে সময় আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীসহ আদালতে আসা সেবাগ্রহীতারা ছোটোছুটি করতে থাকেন।
ওইদিন আইনজীবীরা লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল করেন। আগামী রোববার থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে আদালতে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন:
Comments