ইচ্ছে থাকলেও পেসারদের ব্যাপারে নিরুপায় ডমিঙ্গো

domingo
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল পাঁচজন পেসার আর চার স্পিনার। চার স্পিনারের সবাই মূল একাদশে থাকলেও পেসারদের মধ্যে বেছে নেওয়া হয় মাত্র একজনকে। পেস বোলিং খেলা এবং পেসারদের খেলানোর একটা সংস্কৃতির কথা বলে আসছিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। কিন্তু ঘরের মাঠে টেস্টে তার ছাপ দেখা যায়নি। এই জন্য দেশের মাঠের উইকেটকে কারণ হিসেবে দায় দিচ্ছেন তিনি।

চট্টগ্রাম টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম ইনিংসে শুরুতেই ২ উইকেট তুলেছিলেন। পরে আর পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিনে ৪ ওভারের বেশি বল করেননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত কেবল ১৯ ওভার বল করতে দেখা গেছে  তাকে।

সাকিব আল হাসান চোটে পড়ায় বেশিরভাগ তিন স্পিনার মিলেই করেছেন বাকি কাজ। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ডমিঙ্গো জানালেন পেসারদের একাদশে রাখতে তার নিজের ইচ্ছা থাকলেও নিরুপায় হয়ে যান উইকেটের কারণে,  ‘আমি সব সময় পেসারদের দলে রাখতে চেষ্টা করি। এই ধরণের উইকেটে আসলে কঠিন (পেসার দলে রাখা)। এটাই হলো চ্যালেঞ্জ।’

চট্টগ্রাম টেস্টে বাড়তি গতির কারণে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মাঝে মাঝে ব্যাটসম্যানদের ভুগাতে দেখা গেছে। কেমার রোচ তামিম ইকবালের উইকেট নেওয়া ছাড়া ছিলেন একদম নির্বিষ। ডমিঙ্গো টানলেন সেই উদাহরণ, ‘আপনারা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ দেখেন, তাদের দুজন খুব অভিজ্ঞ পেসার কেমার রোচ আর শ্যানন গ্যব্রিয়েল আছে। সম্ভবত তারা ২৩০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছে এই টেস্টে (আসলে ১৮৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট)। এই উইকেট পেসারদের জন্য অনেক কঠিন। কোন গতি নেই, তেমন বাউন্স নেই। যখন বাংলাদেশে খেলব তখন এই ব্যাপারগুলো মাথায় নিতে হবে।’

 তবে উইকেট বানানো হয় মূলত স্বাগতিক দলের চাহিদা মাফিক। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও পেস খেলার ঘাটতির কারণে প্রতিপক্ষে ভাল মানের পেস আক্রমণ দেখলে বাংলাদেশ হাঁটে টার্নিং উইকেটের দিকেই। অবশ্য প্রতিপক্ষের স্পিন দুর্বলতাও এসব জায়গায় রাখে ভূমিকা।

Comments

The Daily Star  | English

India, Pakistan agree to ceasefire

Announces Trump after rivals launch multiple attacks on key military installations; Islamabad, New Delhi confirm truce

3h ago