সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসারের মৃত্যু, চট্টগ্রামে স্মরণ
নব্বইয়ের দশকে উইন্ডিজের হয়ে দুটি টেস্ট খেলেছিলেন এজরা মোসলি। দুই টেস্টেই ইয়ান বিশপের সঙ্গে জুটি বেঁধে বল করেছিলেন তিনি। কিংবদন্তি বিশপ ধারাভাষ্য দিচ্ছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। এখানে বসেই সাবেক সতীর্থের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেলেন তিনি। পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশ আর উইন্ডিজ দলও এক মিনিট নীরবতায় স্মরণ করল সাবেক এই টেস্ট ক্রিকেটারকে।
বার্বাডোজে নিজ বাড়ির পাশেই সাইকেল চালাচ্ছিলেন মোসলি। ৬৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের সাইকেলকে ধাক্কা দেয় এক মোটরগাড়ি। তাতেই মৃত্যু হয় তার। রবিবার সকালে মোসলির মৃত্যু সংবাদ পায় উইন্ডিজ দল।
ক্রিকেট উইন্ডিজের ক্রিকেট পরিচালক জিমি অ্যাডামস জানান, ‘বার্বাডোজ থেকে খুবই মর্মান্তিক খবর আমরা পেয়েছি। এজরা মোসলি মারা গেছেন। পুরো ক্রিকেট উইন্ডিজ তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর আগে দুই দলের সব খেলোয়াড় ও ম্যাচ সংশ্লিষ্টরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এজরার মৃত্যুর খবর।
আশি ও নব্বইয়ের দশকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেন এজরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কেবল দুই টেস্ট খেললেও ইংলিশ কাউন্টিতে গ্ল্যামারগনের হয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান আছে তার। দুই মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৫০টি করে উইকেট নেন তিনি। পরে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও।
উইন্ডিজের হয়ে ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পোর্ট অফ স্পেনে অভিষেক হয় মোসলির। সে সিরিজে ব্রিজটাউনে খেলেছেন জীবনের শেষ টেস্ট। অভিষেক টেস্টে বাউন্সারে ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচের হাত ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি।
সে সময় ক্যারিবিয়ান পেস বোলিং লাইনআপে ছিলেন বিশপ, কার্টলি অ্যাম্ব্রোস আর কোর্টনি ওয়ালশ। এমন তারকাদের ভিড় থাকার কারণেই লম্বা হয়নি মোসলির ক্যারিয়ার।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬ উইকেটে থামলেও প্রথম শ্রেণিতে আলো ছড়ান তিনি। ৭৬ ম্যাচে ২৩.৩১ গড়ে ২৭৯ উইকেট আছে ডানহাতি এই পেসারের।
Comments