বোলাররা ঠিক জায়গায় বল করতে পারেনি: মুমিনুল

বোলারদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। তারা সঠিক জায়গায় বল করতে পারেননি বলেই হেরেছেন বলে জানান তিনি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম চার দিন একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করে অবিশ্বাস্যভাবে শেষ দিনে চট্টগ্রাম টেস্ট হেরে গেছে বাংলাদেশ। শেষ দিনের প্রথম দুই সেশনে কোনো উইকেটই ফেলতে পারেনি তারা। এরপর যখন ব্রেকথ্রু পায় দলটি, ততক্ষণে জয়ের অনেক কাছাকাছি চলে যায় ক্যারিবিয়ানরা। আর এর জন্য বোলারদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। সঠিক জায়গায় বল করতে পারেননি বলেই হেরেছেন বলে জানান তিনি।

অথচ চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ৫৯ রানের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে কোণঠাসা ছিল ছিল সফরকারীরা। তবে সেদনই চতুর্থ উইকেটে দুই অভিষিক্ত কাইল মায়ার্স ও এনক্রুমাহ বোনারের পঞ্চাশোর্ধ্ব অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেই জুটি শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ২১৬ রান যোগ করে। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় উইন্ডিজ।

রবিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পঞ্চম দিনের শুরু থেকেই ধারহীন ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কুঁচকির নতুন চোটে দলের সেরা তারকা সাকিব আল হাসান ছিলেন না মাঠে। তাতে একজন বোলারের সংকট ছিল বটে। তবে পুরনো উইকেটে তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও মিরাজদের ওপর বাংলাদেশের আস্থাও ছিল বেশ। কিন্তু নিজেদের কাজটি ঠিকভাবে করতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের বিরক্তি গোপন করেননি অধিনায়ক মুমিনুল, ‘মায়ার্স ও বোনার দারুণ খেলেছে। আমরা কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারিনি এবং আমাদের বোলাররা সঠিক জায়গায় বল করতে পারেনি। তবে সব কৃতিত্ব তাদের ব্যাটসম্যানদের দিতে হবে। তারা ভালো ব্যাট করেছে। শেষ দিনে যদি উইকেট কিছুটা স্পিনারদের সাহায্য করত, তাহলে আমরা আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারতাম। আমরা কিছু তৈরি করেছি, কিন্তু সেটা লুফে নিতে পারিনি।’

তবে এ হারের মাঝেও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন অধিনায়ক। বিশেষ করে, মিরাজের খেলার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি, ‘আমরা হেরে গেছি। তবে আমরা এখানেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পেয়েছি। আমরা প্রথম ইনিংসে ভালো খেলেছি এবং চার দিন পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি। মিরাজ চার দিনই খুব ভালো খেলেছে, ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই। আমরা এটাই পরের টেস্টে নিয়ে যেতে চাই।’

মুমিনুল বোলারদের কাঠগড়ায় তুললেও তার নিজের অধিনায়কত্বের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে, তার শরীরী ভাষা ছিল দুর্বল। নেতৃত্বে তেমন কোনো সৃজনশীলতা দেখা যায়নি। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টাও করেননি। নিয়মিত বোলাররা যখন কাজটা ঠিকভাবে করতে পারছিলেন না, তখন পঞ্চম কোনো বোলারকে আনেননি তিনি। অথচ টেস্টে প্রায় সময়ই মুমিনুলের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন আগের অধিনায়করা। এছাড়া, রিভিউও তিনি নিতে পারেননি ঠিকভাবে। নইলে মায়ার্স ও বোনার দুজনকেই ফেরানো যেত তাদের হাফসেঞ্চুরির আগে।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

57m ago