‘সাকিব ভাইকে মিস করেছি’

Shakib Al Hasan
মাঠে নামতে না পারা সাকিব পরামর্শ দিচ্ছেন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং-বোলিং কোনো কিছুতেই আর নামা হয়নি তার। দলের অভিজ্ঞ ও সফলতম ক্রিকেটারের অভাব শেষ দিনে ভীষণ অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, বোলার সাকিবের অভাব টের পেয়েছেন বেশি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ৩৯৫ রান। রবিবার শেষ দিনেই ৭ উইকেটে দরকার ছিল ২৮৫ রান। তিন সেশন আর এত রানের পুঁজি নিয়েও উইন্ডিজকে ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

তিন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম পুরো দিনে ছিলেন মলিন। জায়গায় বল ফেললে টার্ন পাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে সেটা করতে পারেননি। প্রায়ই আলগা বল করে চাপ সরিয়েছেন। পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন বিবর্ণ। এই চার জনকে ছাড়া অন্য কাউকে ব্যবহার করেননি মুমিনুল। যদিও অতীতে তার নিজেরই ২৭ ইনিংসে বোলিংয়ের নজির আছে!

প্রথম দুই সেশনে উইকেট পড়তে না দেখে অস্থিরতা বেড়ে যায় বাংলাদেশের। চোট নিয়ে নামতে না পারার হাহাকার বোঝা যায় মাঠের বাইরে থাকা সাকিব চেহারায়। চা-বিরতির সময় মাঠে ঢুকে উইকেটও দেখে যান তিনি। পরে পুরো দলকে সামনে নিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা যায় তাকে। লাভ হয়নি তাতেও।

কাইল মায়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের রেকর্ডময় ইনিংস আর এনক্রুমা বোনারের দৃঢ়তায় বিস্ময় জাগিয়ে ম্যাচ বের করে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। মায়ার্স যখন একের পর এক ছক্কায় ম্যাচটা শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন সাকিবকে পাওয়া যায় সীমানার বাইরে বিমর্ষ চেহারায়।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুল বললেন, সাকিব না থাকার হাহাকারে পুড়েছেন তারা, ‘সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হত। যেহেতু সিনিয়র বোলার-সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারত। উনি না থাকায় মিস করেছি। বিশেষ করে, বোলিংয়ে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

40m ago