নতুন-পুরাতনের সম্মিলনে বার্সাকে টপকে ফের দুইয়ে রিয়াল
যুব দল থেকে উঠে আসা তরুণ মিডফিল্ডার মার্ভিন পার্ক প্রথমবারের মতো জায়গা পেলেন মূল দলের শুরুর একাদশে। বিরতির পর মাঠে দেখা গেল আরও দুই তরুণকে। শুরুর দিকে নামলেন মিডফিল্ডার সান্তিয়াগো আরিবাস, শেষদিকে ডিফেন্ডার ভিক্তর গার্সিয়া। এই তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞ করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচ আর মার্সেলোরা তো ছিলেনই। দুইয়ের সম্মিলনে বার্সেলোনাকে টপকে ফের লা লিগার পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপে থাকা জিনেদিন জিদানের দল মঙ্গলবার রাতে গেতাফের বিপক্ষে পেয়েছে ২-০ গোলের স্বস্তির জয়। ঘরের মাঠ আলফ্রেদো ডি স্তেফানো স্টেডিয়ামে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজেমা ও ফারলান্দ মেন্দি। চলতি বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথমবারের মতো টানা দুটি ম্যাচে জিতেছে লিগের শিরোপাধারীরা।
চোটের কারণে সার্জিও রামোস ও এডেন হ্যাজার্ডসহ আরও বেশ কয়েকজন নিয়মিত তারকাকে পায়নি রিয়াল। হলুদ কার্ডের কারণে টনি ক্রুসও ছিলেন নিষেধাজ্ঞায়। ফলে খেলার কৌশল ও শুরুর একাদশে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন জিদান। গেতাফের বিপক্ষে রিয়াল খেলেছে ৩-৪-৩ ফরমেশনে।
ম্যাচ জুড়ে বল দখলে প্রাধান্য ছিল স্বাগতিকদের। তাদের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সফরকারী গেতাফেকে। যদিও কাঙ্ক্ষিত আগ্রাসী রূপে দেখা যায়নি রিয়ালকে। তাদের নেওয়া ১৪ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র চারটি। বিপরীতে, অতিথিরা একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
পঞ্চম মিনিটে খুব কাছ থেকে নেওয়া কাসেমিরোর শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। আট মিনিট পর মার্কো আসেনসিওর কর্নারে ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমার হেড ক্রসবারে বাধা পেলে হতাশা বাড়ে রিয়ালের। ৩৮তম মিনিটে মার্সেলোর পাসে মদরিচের জোরালো শট রুখে দেন গেতাফে গোলরক্ষক দাভিদ সোরিয়া। ৪৯তম মিনিটে আবারও দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন বেনজেমার কোণাকুণি শট।
তবে ৬০তম মিনিটে সোরিয়ার চীনের প্রাচীর ভেঙে যায়। ডান দিক থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্রসে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। চলমান লা লিগায় এটি তার একাদশ গোল। ছয় মিনিট পর ফের উল্লাস করে রিয়াল। মার্সেলোর ক্রসে পা ছুঁইয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আরেক ফরাসি মেন্দি। এবারের মৌসুমে প্রথমবারের মতো গোল করার স্বাদ নেন এই ডিফেন্ডার। বাকি সময়ে রিয়াল আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। নির্বিষ পারফরম্যান্সে গেতাফেও পারেনি ভীতি ছড়াতে।
এই জয়ে ২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৬। তিনে নেমে যাওয়া বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে পেয়েছে ৪৩ পয়েন্ট। ২০ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
Comments