বগুড়ায় সংঘর্ষ: আ. লীগ নেতাসহ ৫৬৬ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা, গ্রেপ্তার ১৪
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনজুরুল আলম মোহনসহ ৫৬৬ জনের নামে তিনটি মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় তিনটি মামলা হয়।
সংঘর্ষে বগুড়া পুলিশের বিশেষ শাখার একজন কনস্টেবল ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসনসহ ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ কনস্টেবল রমজান আলীর উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ্য থেকে পুলিশ পরিদর্শক মো. নান্নু খান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিলকে আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।
অন্য দিকে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মনজুরুল ইসলাম মোহনকে প্রধান আসামি করে ৫২ জনের নাম এবং আরও ১৫০-২০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভাংচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং গুলির ঘটনায় মামলা করে বলে জানান, বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, আমিনুল এবং তার দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি করেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ভাই মশিউল আলম। এই মামলায় আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে দুই জন এবং আমিনুলের করা মামলায় পুলিশ আরো ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেন জানান, বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির।
উল্লেখ এই ঘটনার পরে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় বগুড়া জেলা মোটর-শ্রমিক যৌথ কমিটি আমিনুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবং দাবি করে, মনজুরুল আলম মোহনকে রাতের মধ্যে যদি পুলিশ গ্রেপ্তার না করে তবে আজ সকাল থেকে বগুড়া আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বগুড়া চারমাথা বাস টার্মিনাল থেকে অন্য জেলায় বাস চলাচল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের সঙ্গে মোটর মালিকদের বৈঠকের পর দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন-
Comments