যে কারণে মনোনয়ন পেয়েও চাঁদপুরে ইউপি নির্বাচনে দাঁড়াননি বিএনপি প্রার্থী
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ধার্য করে নির্বাচন কমিশন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী গত ৩ ফেব্রুয়ারি ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সেলিম খানসহ নয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৩ জনই নির্বাচিত হতে চলেছেন।
নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণার পর সদর উপজেলা বিএনপি লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নানকে প্রার্থী করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আব্দুল মান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমার ওপর দলের পক্ষ থেকে তেমন কোনো চাপ ছিল না। আমার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী। আমার পরিবারের নিষেধ ছিল আমি যেন এই নির্বাচনে অংশ না নেই। এছাড়াও, আমার নয়টি ওয়ার্ডে ১২ সদস্য পদে একজনকেও পাইনি যিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমি সম্পূর্ণ একা হয়ে যাওয়ায় আমি এই নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস পাইনি। এ কারণে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি।’
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান বলেন, ‘আমি ২০১১ সালে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। চাঁদপুর জেলার ৮৮টি ইউনিয়নে যা কাজ হয়েছে তার চেয়ে বেশি কাজ আমি আমার ইউনিয়নে করেছি।’
বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ইউনিয়নে তার একজন সদস্যেরও সমর্থন না পাওয়ায় তিনি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় হয়তো এতে অংশ নেননি। তারপরও তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে আমি তাকে সহায়তা করতাম।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সলিমুল্লা সেলিম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে অংশ নেব বলে দল থেকে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছি। তার মোবাইল বন্ধ থাকায় আমরা তার সাথে কথা বলতে পারিনি। তিনি কেন দাঁড়াননি তা জানতে পারিনি। তিনিও আমাদের কিছু জানাননি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানিয়েছেন, ‘এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান, নয়টি ওয়ার্ডের নয় জন সাধারণ সদস্য সংরক্ষিত ও তিন নারী সদস্য ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেননি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইতেও তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে সবাইকে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করব।’
Comments