রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকাকে হারাল পাকিস্তান

এক প্রান্তে তেমন কেউ থিতু হতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটা ২১ রানের। কিন্তু অপর এক প্রান্তটি ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত খেললেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর তার হার না মানা অনবদ্য ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও দারুণ লড়াই চালিয়ে পাকিস্তানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রিজা হ্যান্ডরিক্স। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে তাকেও ফেরান রিজওয়ান। তাতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে সিরিজে গিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
ছবি: টুইটার

এক প্রান্তে তেমন কেউ থিতু হতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটা ২১ রানের। কিন্তু অপর এক প্রান্তটি ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত খেললেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর তার হার না মানা অনবদ্য ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও দারুণ লড়াই চালিয়ে পাকিস্তানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিজা হ্যান্ডরিক্স। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে তাকেও ফেরান রিজওয়ান। তাতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে সিরিজে গিয়ে গেল বাবর আজমের দল।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে তারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারী দলটি।

মূলত রিজওয়ানের নৈপুণ্যেই জয় পায় পাকিস্তান। কদিন আগেই ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেছিলেন। এর আগে করেছিলেন ওয়ানডে সংস্করণেও। এবার টি-টোয়েন্টিতেও সেঞ্চুরি তুলে অনন্য কীর্তি গড়েন রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম এ কীর্তি গড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ৬৪ বলে ৬টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ফলে রিজওয়ান এক প্রান্ত ধরে রাখলেও গড়ে ওঠেনি বড় কোনো জুটি। হায়দার আলির সঙ্গে করা দ্বিতীয় উইকেটে করা ৩৬ রানের জুটিই ছিল তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। রিজওয়ানের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

স্বাগতিকদের অবশ্য বেশ ভালো জবাব দিচ্ছিল প্রোটিয়ারা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৫৩ রান। এ জুটিতে অবশ্য মূল অবদান ছিল জানেমান মালানের। একাই করেন ৪৪ রান। এরপর আরেক ওপেনার হ্যান্ডরিক্স দলকে টেনে নিচ্ছিলেন। দলকে জয়ের ভিতও প্রায় গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সতীর্থদের সহায়তা সে অর্থে পাচ্ছিলেন না। তাই স্ট্রাইক ধরে রাখতে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রিজওয়ানের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রানআউট হন। তাতেই পিছিয়ে পরে সফরকারীরা।

এরপর আন্দিল ফেলুকায়াও, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও বিয়র্ন ফরচুন চেষ্টা করেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টায় জয়ের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল দলটি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল একটি ছক্কার। কিন্তু ২ রান তুলতে সক্ষম হন ফরচুন। ৩ রানের হারেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন হ্যান্ডরিক্স। ৪২ বলে ৮টি চারে করেন ৫৪ রান। এছাড়া ৪৪ রান আসে মালানের ব্যাট থেকে। ২৯ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ফরচুন ১৭ ও প্রিটোরিয়াস ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন হারিস রৌফ ও উসমান কাদির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৯/৬ (রিজওয়ান ১০৪*, বাবর ০, হায়দার ২১, তালাত ১৫, ইফতেখার ৪, খুশদিল ১২, ফাহিম ৪, নাওয়াজ ৩*; ফরচুন ১/২৫, প্রিটোরিয়াস ০/১৩, ফেলুকায়াও ২/৩৩, সিপামলা ১/৩৭, নাইমান ০/১২, দালা ০/২৫, শামসি ১/২০)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মালান ৪৪, হ্যান্ডরিক্স ৫৪, স্নিমান ২, ক্লাসেন ১২, ফেলুকায়াও ১৪, প্রিটোরিয়াস ১৫*, ফরচুন ১৭*; নাওয়াজ ০/২১, রৌফ ২/৪৪, আফ্রিদি ০/৩৭, কাদির ২/২১, খুশদিল ০/৬, ফাহিম ১/৩৭)।

ফলাফল: পাকিস্তান ৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago