চীনের জন্যে বার্তা, প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সাবমেরিন

মিত্র দেশগুলোকে আশ্বাস ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরে পাঠানো হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় সাবমেরিন।
US Navy
প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন রণতরী। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

মিত্র দেশগুলোকে আশ্বাস ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরে পাঠানো হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় সাবমেরিন।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইউএসএস ওহিও নামের এই সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছিল শীতলযুদ্ধের সময়। এতে এমন ভয়ঙ্কর অস্ত্র রাখা হয়েছিল যা দিয়ে মুহূর্তেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের এক ডজনের বেশি শহর ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব ছিল।

পরে এই সাবমেরিন থেকে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয় উল্লেখ করে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত এটি প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামরিক উপস্থিতি।

সম্প্রতি, তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। এছাড়াও, দেশটি দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিশালাকৃতির যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী রেখেছে সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্যে। পাশাপাশি, জাপানের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে সবচেয়ে নতুন একটি যুদ্ধজাহাজ।

গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ইউএসএস ওহিওকে সেই অঞ্চলে পাঠানো হলো। প্রায় ১৮ হাজার টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনটি জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের কাছে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

লন্ডনের রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের নৌবাহিনী বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ কৌশল সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘এই সাবমেরিনটি শত্রু এলাকার ভেতরে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে যেসব সামরিক ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই সাবমেরিনটির সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি,’ যোগ করেন তিনি।

প্রশান্ত মহাসাগরে পরমাণু-রিঅ্যাকটর থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করা এই ওহিও সাবমেরিনের উপস্থিতি চীনের জন্যে একটি বার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English
BNP call's blockade

No hartal and blockade on Sunday

BNP has refrained from calling any programmes on Sunday marking International Human Rights Day

2h ago