অবসরে গেলেন রাজ্জাক-নাফীস
প্রায় কাছাকাছি সময়ে আন্তর্জান্তিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস ও আব্দুর রাজ্জাক। ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য রাজ্জাক অনেকটা সিনিয়র। বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটার শনিবার থেকে হয়ে গেলেন ‘প্রাক্তন’। বিসিবি ও ক্রিকেটার্স অ্যাসোশিয়েশনের বিদায়ী সংবর্ধনার পর নতুন পরিচয়ে শুরু হচ্ছে তাদের যাত্রা।
শনিবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা চলাকালীন আয়োজন করা হয় এই দুজনের বিদায়ী অনুষ্ঠানের। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারের সামনে ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক সব ধরণের ক্রিকেট থেকে বিদায় ঘোষণা দেন তারা। এরপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুজনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাককে জাতীয় নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। খেলার মাঠ থেকে তাই বিদায় নেওয়া ছাড়া তার বিকল্প ছিল না। সেই আনুষ্ঠনিকতা সেরে বুঝে নিয়েছেন নতুন দায়িত্ব।
বাঁহাতি ওপেনার নাফীসও যোগ দিচ্ছেন বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে যোগ দিতে যাওয়া এই ব্যাটসম্যানেরও অবসর নেওয়া ছিল জরুরী।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট না থাকায় মাঠ থেকে চাইলেও সুযোগ নেওয়ার বাস্তবতা ছিল না। তাদের সেই খেদ থাকছে না বিসিবি ও কোয়াবের বিদায়ী আয়োজনে। দুই দশকের পথ চলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্যের এই দুই নায়ক জানিয়েছেন নিজেদের প্রতিক্রিয়া। মাঠ থেকে না হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারার তৃপ্তি তাদের।
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা নাফীস বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২৪ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আলোচিত এক সেঞ্চুরিসহ তার ঝুলিতে ১ হাজার ২৬৭ রান।
তবে ওয়ানডেতেই বেশি সফল ছিলেন তিনি। ৭৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২ হাজার ২০১ রান। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কেবল একটি। তবে সেটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেই ম্যাচে আবার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার।
ওয়ানডেতে আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের সব সময়ের সেরাদের একজন। সবার আগে দুইশো উইকেট নিয়েছিলেন তিনিই। ১৫৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ২০৭ উইকেট নিয়ে থেমে যান তিনি। ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। টেস্ট খেলেছেন কেবল ১৩টি। তবে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে এই ফরম্যাটেই খেলতে দেখা গেছে তাকে।
Comments