নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে: কাদের
এ দেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার দুপুরে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন সরকার নাকি ইচ্ছা মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করছে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অপশক্তি যেভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, তার বিপরীতে নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে। কারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে সপরিবারে হত্যার বেনিফিশিয়ারি, কারা এ দেখে খুনিদের বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করেছিল তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে বলে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
‘মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার এ দেশে কারো নেই। এ দেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক হচ্ছে বিএনপি। তারা মুখোশের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের পৃষ্ঠপোষক’— বলেন ওয়ায়দুল কাদের।
ঠাকুরগাঁওয়ে পৌর নির্বাচনি প্রচারণায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগমের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি তার সাথে কথা বলে প্রকৃত তথ্য জানতে চেষ্টা করেছি। তার বক্তব্যের অডিও এবং ভিডিও আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। এ ধরনের অরাজনৈতিক বক্তব্য যদি দিয়ে থাকে, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যার যার খুশি মতো বক্তব্য প্রশ্রয় দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল চতুর্থ ধাপে বাংলাদেশের ৫৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগের তিনটি ধাপের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামীকালের নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
‘সরকার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনো প্রকাশ হস্তক্ষেপ করবে না। আমরা আশা করছি, কোনো প্রকার হানাহানি ছাড়া, শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। চতুর্থ ধাপে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বরাবরের মতো আগামীকালও সক্রিয় থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। চাহিদা অনুযায়ী সরকার সব ধরনের ফ্যাসিলিটি দিয়ে যাবে’— বলেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বিএনপি বরাবরের মতো অভিযোগের তীর ছোড়া বন্ধ করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ভোটের দিন মাঠে থাকবে। একটি দল অহেতুক অভিযোগ তুলে কর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা মানে দলকে জনপ্রত্যাশা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। জনগণ প্রত্যাশা করে, বিএনপি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনি রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে সামনের দিনগুলো। বিএনপি নেতারা সরকারকে গণতন্ত্রের পথে আসার ছবক দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে আপনারাই কৃত্রিম বাধা তৈরি করছেন। একদিকে নির্বাচন বিমুখ রাজনীতি অন্য দিকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখায় দেশের গণতন্ত্র হোঁচট খাচ্ছে।’
আরও পড়ুন
Comments