এমন উইকেটেও ৪০০ রানের লক্ষ্য ছোঁড়ার প্রত্যাশা কর্নওয়ালের

বেশ বড় বড় টার্ন পাচ্ছেন স্পিনাররা। হঠাৎ হঠাৎ লাফিয়ে উঠছে, আবার নিচুও হয়ে যাচ্ছে। তাতে ব্যাটসম্যানদের পোহাতে হচ্ছে বিপদ। মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনেই যখন উইকেটের এমন চিত্র, তখন শেষ দুটি দিনে কী ঘটতে পারে তা পুরনো অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝে নিতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। তারপরও বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে সিরিজে ফেরার কোনো পথের খোঁজ দিতে রাজী নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে ওঠা এমন উইকেটেও প্রতিপক্ষকে বিশাল লক্ষ্য ছোঁড়ার লক্ষ্য দলটির স্পিনার রাহকিম কর্নওয়ালের।
শনিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে উইন্ডিজ এগিয়ে আছে ১৫৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। সবগুলো উইকেট গেছে বাংলাদেশের স্পিনারদের ঝুলিতে। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২৯৬ রানে। ফলে ক্যারিবিয়ানরা পায় ১১৩ রানের বড় লিড। এতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন অফ স্পিনার কর্নওয়াল। তিনি ৭৪ রানে নেন ৫ উইকেট।
ম্যাচের চিত্র বলছে, শেষ বিকালে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে দ্রুত হারালেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উইন্ডিজ। কর্নওয়ালের নিজের ভাবনাও একই, ‘আমার মনে হয়, আমরা একটু এগিয়ে চালকের আসনে আছি। কালকের (রবিবার) দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কালকের প্রথম ঘন্টায় ভালো ব্যাটিং করতে হবে এবং লাঞ্চে আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারব যে, আমরা বাংলাদেশকে কত রানের টার্গেট দিতে পারি।’
মিরপুরের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ডও নেই। ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২০৯ রান টপকে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে সেসব হয়তো জানা নেই কর্নওয়ালের কিংবা জানলেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চান তারা, ‘আমার মনে হয় ৪০০-এর উপরে যেকোনো লক্ষ্যই আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। আমাদের শুধু কালকে সকালে ভালো ব্যাটিং করতে হবে এবং পরে আমরা বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারব।’
চট্টগ্রামে সিরিজের আগের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কর্নওয়াল। এবারে এক ইনিংসেই ধরলেন ৫ শিকার। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কণ্ঠে তৃপ্তি ঝরানোর পাশপাশি দলের জন্য অবদান রাখার আনন্দও প্রকাশ করলেন তিনি, ‘৫ উইকেট পাওয়া সবসময়ই ভালো অনুভূতি। আমি দলকে জয়ের জন্য ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে গেছি। এটিও একটি ভালো অনুভূতি।... আমার মনে হয়, ঢাকায় বাউন্স একটু বেশি। চট্টগ্রামে তেমন টার্ন ও বাউন্স ছিল না। এখানে তুলনামূলকভাবে বেশি সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে উইকেট থেকে।’
Comments