নেইমারকে ছাড়াই নিসকে হারিয়ে শীর্ষে পিএসজি

ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন দলের সেরা তারকা নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নিসও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়ন্স প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। তবে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে দলটি। আর এ জয়ে লিল ও লিঁওকে টপকে শীর্ষেও উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের মাঠে শনিবার নিসকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারায় পিএসজি। দলের হয়ে গোলদুটি করেন জুলিয়ান ড্রাক্সলার ও মোয়েজ কিন। নিসের হয়ে পক্ষে একমাত্র গোলটি আসে রনি লোপেজের কাছ থেকে।
শীর্ষে ফিরলেও রাতেই অবস্থান হারাতে পারে পিএসজি। ব্রেস্টের বিপক্ষে জিতলে ফের শীর্ষে উঠবে লিল। ২৫ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা লিল। অবশ্য আগের দিন শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল লিঁওর। কিন্তু মন্টপেলিয়ারের কাছে ২-১ গোলে হেরে সে সুযোগ নষ্ট করে তারা।
এদিন ম্যাচের ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান প্রান্ত থেকে টিলো কেরারের ক্রসে ঝাঁপিয়ে পা দিয়ে স্পর্শ করেছিলেন মাউরো ইকার্দি। কিন্তু বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান মিডফিল্ডার ড্রাক্সলার।
৩৯তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন কিলিয়ান এমবাপে। লিয়ান্দ্রো পারেদেসের নিখুঁত ক্রসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজন ছিল একটি জোরালো শটের। কিন্তু ঠিকভাবে করতে না পারায় তার ভলি সহজেই লুফে নেন গোলরক্ষক ওয়াল্টার বেনিতেজ।
দুই মিনিট পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ ছিল নিসের। ক্লাউদি মাউরিসের কাটব্যাক থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন আমিন গৌরি। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে নিস। ৫০তম মিনিটে গোল পেয়েও যায় তারা। তবে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে বসে পিএসজি। বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে লোপেজের পায়ে বল তুলে দেন মার্কিনিয়োস। বল ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
৬১তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় পিএসজি। মিজানে মাওলিডার বাড়ানো বলে জোরালো শট নিয়েছিলেন গৌরি। কিন্তু গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করতে পারলেও বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে বল।
৭৬তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় পিএসজি। এমবাপের ক্রস থেকে দারুণ দক্ষতায় ভলি করে গোলমুখে কিনকে পাস দেন মাউরো ইকার্দি। খালি পোস্টে আলতো হেডে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এ ইতালিয়ান।
নয় মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো নিস। অবিশ্বাস্য এক সুযোগ নষ্ট করেন জিয়ান-ক্লিয়ার তোদিবো। হাসানে কামারার ক্রস একেবারে ফাঁকায় গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments