খেলায় ফিরলেও বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে উইকেটের অবস্থা

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৭ ওভার। তাতে ৪৮ রান তুলেছে উইন্ডিজ। বাংলাদেশে ফেলতে পেরেছে গুরুত্বপূর্ণ আরও ৩ উইকেট। কিন্তু ৬ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে এরমধ্যে ২১১ রানের লিড হয়েছে গেছে ক্যারিবিয়ানদের
Abu Jayed Chowdhury
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সকালের প্রথম ঘণ্টাতেই দ্রুত উইকেট দরকার ছিল বাংলাদেশের। পেসার আবু জায়েদ রাহি জোড়া আঘাতে সেটা পাইয়েও দিলেন। দারুণ টার্ন-বাউন্স আদায় করে উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলামও। কিন্তু এরমধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড দুইশো ছাড়িয়ে যাওয়া আর উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য ক্রমশ দূরূহ হয়ে পড়ায় ভয় বাড়ছে বাংলাদেশের।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৭ ওভার। তাতে ৪৮ রান তুলেছে উইন্ডিজ। বাংলাদেশে ফেলতে পেরেছে গুরুত্বপূর্ণ আরও ৩ উইকেট। কিন্তু ৬ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে এরমধ্যে ২১১ রানের লিড হয়েছে গেছে ক্যারিবিয়ানদের। লিড বাড়াতে ক্রিজে আছেন ছন্দে থাকা এনক্রুমা বোনার আর জশুয়া দা সিলভা।

উইকেট স্পিনারদের বল নিচ্ছেন বিশাল বাঁক, মাঝে মাঝেই বল হচ্ছে নিচু। পেসাররাও পাচ্ছেন সুবিধা। এখানে আড়াইশর বেশি রান তাড়া করা হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের।

সকালে নেমে জুতসই একটা শুরু পায় বাংলাদেশ।  নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিকন আগের দিনের বিকেলের কঠিন কিছু সময় টিকে গিয়েছিলেন। এই কাটা সরানোর দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেই কাজ করে দেন জায়েদ। সকালের প্রথম ওভার বাদ দিলে তিনি ছিলেন দারুণ। তার ভেতরে ঢোকা বল সামলানোর সামর্থ্য ছিল না ওয়ারিকনের। পরিষ্কার এলবিডব্লিউ।

এরপর আগের ম্যাচের হিরো কাইল মেয়ার্সকে বারবার বিপদে ফেলতে থাকেন জায়েদ। উইকেটের পেছনে ক্যাচও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়ায় সেই যাত্রা পার পেয়ে যান।

কিন্তু তাকে এবার  বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হতে দেননি জায়েদ। ওভার দ্য উইকেট বল করতে এসে ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন। মেয়ার্স রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে পারেননি।

জার্মেইন ব্ল্যাকউড চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে রান পেয়েছিলেন। এরপর হতাশ করেছেন সফরকারীদের। তবে ব্যাটিংয়ের ধরণে বরাবরই তিনি বিপদজনক। দ্রুত রান তুলে চাপ বাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষে। এবার শুরুটাও হয়েছিল তেমন। জায়েদের বলে দারুণ এক ছয় মেরে দেন তেমন আভাস।

তার ভয় তাড়িয়ে দেন তাইজুল ইসলাম আর লিটন দাস। তাইজুলের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে পরাস্ত হন ব্ল্যাকউড। বাড়তি লাফানো বল ব্যাটে না লাগায় বিপদ ছিল না। কিন্তু কিপার লিটন দারুণ ক্ষিপ্রতায় তা ধরে স্টাম্পিং করে আনেন মহা মূল্যবান উইকেট।

এরপর দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি পেয়ে যায় উইন্ডিজ। বোনার-জশুয়া মিলে সপ্তম উইকেটে এনে ফেলেছেন ২৫ রান, ম্যাচের প্রেক্ষিতে যা বেশ জুতসই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৪০৯

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৯৬

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৮ অভারে ৯৮/৬ (ব্র্যাথওয়েট ৬, ক্যাম্পবেল ১৮, মোসলি ৭, বনার ৩০*, ওয়ারিকান ২, মেয়ার্স ৬, ব্ল্যাকউড ৮, জশুয়া ২০* ; তাইজুল ২/৩১, নাঈম ১/২০, মিরাজ ১/১৫, জায়েদ ২/৩২ )।

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

5h ago