মিয়ানমারে পুলিশি অভিযান ও হামলার ভয়ে রাত জেগে টহল
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরে বিক্ষোভের মুখে বেশ কটি বিতর্কিত আইন সচল করেছে জান্তা সরকার। আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মানুষের স্বাধীনতা সীমিত করতে গতকাল রাতে বিতর্কিত কয়েকটি আইন চালু করা হয়েছে।
এরপরই শহরের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গভীর রাত পর্যন্ত ইয়াঙ্গুন ও মান্দালে শহরে এলাকাবাসীদের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আজ টানা নবম দিনের মতো রাস্তায় নেমেছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। দেশটির প্রধান শহরগুলোতে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ।
রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩৪৪ জনের বেশি মানুষকে আটক করেছে জান্তা সরকার। তাদের অধিকাংশকেই রাতে আটক করা হয়েছে।
বিতর্কিত আইন অনুযায়ী, দেশটিতে এখন কারো বাড়িতে রাতে অতিথি রাখতে হলে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অন্য একটি আইনে আদালতের অনুমতি ছাড়াই যেকোনো জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া, বিক্ষোভের সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে জান্তা সরকার।
সম্প্রতি কয়েক হাজার বন্দিকে মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আন্দোলন বানচাল করতেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশি গ্রেপ্তার অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এখন অতর্কিত হামলার আশঙ্কা করছেন। বেশ কয়েকটি পাড়া ও মহল্লার বাসিন্দারা তরুণ দল বা সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই ধাওয়া করেছেন। এ ছাড়া, সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই বাসিন্দারা হাঁড়ি-পাতিল বাড়ি দিয়ে পুরো এলাকাবাসীকে সতর্ক করছেন।
রোববার মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সাদা পোশাকে প্ল্যাকার্ড হাতে সাবেক নেতা অং সান সু চির মুক্তি দাবি জানিয়েছেন তারা।
রাজধানী নেপিডোতে একটি বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে কয়েক হাজার মোটরবাইক ও গাড়ি চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই এটি করা হয়েছে। তবে, কারা এই কাজে জড়িত সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ ‘রাতে মানুষকে অপহরণে’র বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গুন শহরের বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানান।
Comments