সব বৈধ এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার দাবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর জন্য নতুন করে স্বল্পসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরির অপচেষ্টার অভিযোগ করেছে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট।
Baira logo-1.jpg

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর জন্য নতুন করে স্বল্পসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরির অপচেষ্টার অভিযোগ করেছে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ অপচেষ্টার বিরোধিতা করে সব বৈধ এজেন্সিকে জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনাতয়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জোটের আহ্বায়ক ও সাবেক বায়রা (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেট তৈরির চেষ্টার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে মানববন্ধন ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মালয়েশিয়া জয়েন্ট-ওয়ার্কিং গ্রুপের অনলাইন সভায় কর্মী প্রেরণের জন্য এজেন্সির তালিকা চূড়ান্ত করার এজেন্ডা রাখা হয়েছে। যদিও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণকারী অন্য ১৩টি দেশ কোনো নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠায় না। সেখানে সব বৈধ এজেন্সিই কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায়। বাংলাদেশে সিন্ডিকেট করার সুবিধার জন্যই এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোটের দাবি, ২০১৭-১৮ সালে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে মাত্র দুই লাখ ৫৯ হাজার কর্মী পাঠানো হয়। অথচ ১৫ লাখ কর্মী পাঠানোর সুযোগ ছিল। এতে সব এজেন্সি ব্যবসা করা সুযোগ হারায়, আর দেশ হারায় বিপুল সংখ্যক কর্মী পাঠানোর সুযোগ। সিন্ডিকেটের কারণে দেশ ও অন্য এজেন্সিগুলো এ ক্ষতি হয়েছে।

জোট নেতারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এই বিতর্কিত এজেন্ডা বাদ দিয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থায় অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেরও সব এজেন্সিকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।

তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক বায়রা সভাপতি আবুল বাশার, জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব টিপু সুলতান, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত, ফরিদ আহমেদ, ফখরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন ও মজিবুর রহমান।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago