খেলা

ক্রিকেটাররাই সংগঠক, সিলেটে শুরু হচ্ছে টি-২০ ব্লাস্ট

আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে স্টার প্যাসিফিক স্ট্রাইকার্স বনাম কুশিয়ারা রয়্যালসের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে পাঁচ দলের এই টি-২০ ব্লাস্ট।

করোনাভাইরাস মহামারীর আগে থেকেই সিলেটে হচ্ছে না ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন, গত এক বছরে হয়নি অন্য কোন টুর্নামেন্ট্ও। আর তাই, স্থানীয় ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘ইভ্যালি সিলেট টি২০ ব্লাস্ট ২০২১’। এমন টুর্নামেন্টের উদ্যোগ নিয়েছেন খেলা চালিয়ে যাওয়া বর্তমান ক্রিকেটাররাই।

আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটায়  সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে স্টার প্যাসিফিক স্ট্রাইকার্স বনাম কুশিয়ারা রয়্যালসের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে পাঁচ দলের এই টি-২০ ব্লাস্ট।

উদ্যোগটা মূলত সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের। পরে তারা যুক্ত করেছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা আর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাও।

ফ্রেঞ্চাইজিভিত্তিক এই আসরে অংশ নিচ্ছে এমকেবি প্লাটুন, স্টার প্যাসিফিক স্ট্রাইকার্স, সিলেট ইউনাইটেড, কুশিয়ারা রয়্যালস, এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন ওয়ারিয়র্স।

পাঁচ দলে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে আছেন সিলেট বিভাগের পাঁচ তারকা, এনামুল হক জুনিয়র, অলক কাপালী, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও জাকির হাসান।

লম্বা সময় ধরে মাঠের খেলা না থাকায় তৃণমুলের পেশাদার ক্রিকেটাররা ছিলেন সংকটে। তাদের সেই অর্থনৈতিক সংকট দূর করার সঙ্গে মাঠের খেলা ফিরিয়ে আনার ভাবনা কাজ করেছে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে। দ্য ডেইলি স্টারকে এমন কথাই জানান সাবেক জাতীয় তারকা ও সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক জুনিয়র, ‘বেশ দীর্ঘ সময় ধরে সিলেটে প্রথম বিভাগ লিগ বা কোন গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হচ্ছে না, তাই এর মধ্যে সীমিত পরিসরে দুটি টুর্নামেন্ট আমরা আয়োজন করেছিলাম। ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স এবং অর্থনৈতিক বিষয়—দুটো চিন্তা থেকে এবার বড় পরিসরে কিছু করার চিন্তা করি’।

জাতীয় পুলের ক্রিকেটারদের বাইরে প্রচুর ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটের আয়ে জীবন নির্বাহ করেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তাদের ফেলেছে বিপাকে। অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে লম্বা সময় খেলা না থাকায় স্কিলেও ধরছে জং। এনামুল জানান জাতীয় ক্রিকেট লিগ যদি সহসা শুরু না হয় তবে দীর্ঘ পরিসরের টুর্নামেন্টও নিজেদের উদ্যোগে আয়োজন করবেন তারা,  ‘টুর্নামেন্ট পার্টনারদের সহযোগিতায় এবং স্পন্সরদের সাহায্যে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পেরেছি। যদি কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় লিগ শুরু না হয়, তাহলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের তিনটি টিম গঠন করে চারদিনের ক্রিকেটের একটি টুর্নামেন্টেরও পরিকল্পনা আছে।’

প্রসঙ্গত, ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন বিভাগে ক্রিকেটারদের উদ্যোগেই আয়োজন হচ্ছে এই ধরণের টুর্নামেন্ট। ময়মনসিংহে ১০০ বলের টুর্নামেন্টের পর রাজশাহীতে হয়ে গেছে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।  এরকম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছে নড়াইলেও। 

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

8h ago