ছুটি না নিলেও নিউজিল্যান্ডে যেতে পারতেন না সাকিব!
তৃতীয় সন্তান আসছে এইজন্য নিউজিল্যান্ড সফরের সময় ছুটিতে থাকবেন সাকিব আল হাসান। তবে ছুটি না নিলেও ওই সফরে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা তার কম ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার কারণ অবশ্য চোট। কুঁচকি আর উরুর চোট সারতেই নাকি লেগে যাবে লম্বা সময়।
চট্টগ্রাম টেস্টে চলাকালীন বা পায়ের উরুর চোটে পড়েন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পড়েছিলেন কুঁচকির চোটে। ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রান। বল হাতে ৬ ওভার করেই শেষ হয় সাকিবের সিরিজ।
সাকিবকে ছাড়া চট্টগ্রামে শেষদিনে ধারহীন বোলিং আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশের হার। মিরপুরে ফিরেও পরিস্থিতি বদল আসেনি। হোয়াইটওয়াশ হয়ে চরম বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
মার্চ-এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তিন ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। একেতো দলের খারাপ সময়। তারমধ্যে বিরূপ কন্ডিশনে বাংলাদেশ পাবে না সেরা তারকা সাকিবকে। কারণ তৃতীয় সন্তানের পৃথিবীতে আসা উপলক্ষে ছুটি নিয়েছেন তিনি।
সোমবার ফ্রেন্ডশিপ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে সাকিব দিলেন নতুন তথ্য। যদি ছুটি নাও নিতেন তাহলেও নাকি নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া হতো না তার, ‘ছুটিটা কিন্তু দুই ধরনের। একটা হচ্ছে বাধ্য হয়ে, আরেকটা ব্যক্তিগত। যে ইনজুরিটা সেটা সারতে আমার ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। আপনি ফিজিওদের কাছ থেকে যদি পরিষ্কার নির্দেশনা পান তাহলে দেখবেন ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। যেটাতে আমি মিস করার (নিউজিল্যান্ড সফর) খুব ভাল সম্ভাবনা একটা। যদি ছয় সপ্তাহ লেগে থাকে তাহলে আজকে থেকে যদি কাউন্ট করেন তাহলে পারব কি পারব না নিশ্চিত না। হয়ত টি-টোয়েন্টিটা পারব।’
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর আবার সাকিবকে না পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় ছুটি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সাকিব জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই এই সময়ে স্ত্রী কাছে থাকার বিকল্প নেই তার, ‘আরেকটা যেটা অবশ্যই ব্যক্তিগত কারণ। আমার তৃতীয় সন্তান আসবে। সেটা নিয়ে রোমাঞ্চিত আমরা দুজন। একই সঙ্গে এরকম পরিস্থিতি স্ত্রীর পাশে থাকা জরুরী। তারচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ এই কোভিড পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে অনেক খারাপ। ওখানে হাসপাতালে স্বামী ছাড়া কাউকে এলাউ করে না। কাজেই আমার থাকা খুব জরুরি এই সময়ে।’
Comments