মঙ্গলের আকাশে নাসার হেলিকপ্টার!
প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়াতে চায় নাসা! আগামী বৃহস্পতিবার ঘটতে যাচ্ছে এমন যুগান্তকারী ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে উড়োযানের সাফল্যের একশ বছরের বেশি সময় পর লাল গ্রহে এমন ঘটনা ঘটানোর কথা চিন্তা করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইনজেনুইটি’ নামের ১ দশমিক ৮ কেজি ওজনের এই উড়োযানটিকে হেলিকপ্টার বলা হলেও আসলে এটি একটি ছোট আকারের ড্রোনের মতোই।
গত কয়েক বছরে এই যানটিকে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের জন্যে উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
হেলিকপ্টারের তুলনায় এর ব্লেডগুলো আকারে বড় এবং পাঁচ গুণ বেশি ঘোরে। চার ফুট উচ্চতার এই যানটির রয়েছে বাক্স-আকৃতির অবয়ব। রয়েছে দুটি ক্যামেরা, কম্পিউটার ও নেভিগেশন সেন্সর।
রাতে মঙ্গলের তাপমাত্রা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় বলে যানটির ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্যে রয়েছে সোলার সেল।
পারসিভেরেন্স রোভারের পেটের ভেতরে করে এই হেলিকপ্টারটিকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর তাকে মঙ্গলের মাটিতে নামিয়ে দিয়ে ওড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
এই উড়োযানটির প্রধান প্রকৌশলী বব বলরাম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যদি এটি সফল হয় তাহলে তা মঙ্গল আবিষ্কারে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।’
ধীর গতির রোভারের তুলনায় এই যানটি আরও ভালোভাবে মঙ্গল সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবে। এর সাফল্যের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী যানগুলোর নকশা তৈরি করা যাবে।
মঙ্গলের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় হালকা ওজনের পেলোড বহনেও এই যানটি সহযোগিতা করবে বলে মনে করেন তিনি।
উড়োযানটিকে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতায় ওড়ানোর কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নস্থল থেকে এটি ১৬০ ফুট পর্যন্ত এগিয়ে যাবে এবং আবার সেই জায়গায় ফিরে আসবে।
এর প্রতিটি ফ্লাইট দেড় মিনিটের মতো স্থায়ী হতে পারে।
১৯০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় রাইট ভাইদের উড়োযানটির ১২ সেকেন্ড আকাশে থাকার সঙ্গে তুলনা করলে মঙ্গলের আকাশে দেড় মিনিট ওড়ার সাফল্য মোটেও কম নয়।
Comments