নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর
মিয়ানমারে নতুন করে নির্বাচন দেওয়া এবং নির্বাচনের পর বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টি অস্বীকার করে সেনাবাহিনী দেশে সহিংসতায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের নিন্দা জানিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিতের এ প্রতিশ্রুতির কথা জানাল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
রয়টার্স জানায়, ক্ষমতাসীন কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য একটি নির্বাচন করা এবং বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।’
দেশটির সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী দলের প্রধান অং সান সু চি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও জাতিসংঘের এক রাষ্ট্রদূতের সেনাবাহিনীকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করার পর তারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করল।
তবে নতুন নির্বাচনের তারিখ জানানো হয়নি এবং এর আগেই সেনাবাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
সেনাবাহিনীর ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে জাও মিন তুন জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
‘সেনাবাহিনী দীর্ঘকাল ক্ষমতা ধরে রাখবে না’, যোগ করেন তিনি।
এসময় সু চি এবং রাষ্ট্রপতিকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী সংবিধান মেনে চলবে।’
কয়েকটি বড় শহরে সাঁজোয়া যান এবং সেনা মোতায়েন সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির দাবিতে সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
Comments