‘আমরা বাংলাদেশিরা অনেক ভাগ্যবান’, টিকা নিয়ে বললেন তামিম
নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতিয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার। স্ত্রীসহ টিকা নেওয়ার পর ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন, খুব সুন্দরভাবে টিকা প্রদান পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি হিসেবে এত আগে টিকা পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাদের জন্য সেখানে আগে থেকেই তৈরি করা ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। ক্রিকেটারদের টিকা গ্রহণ প্রক্রিয়া দেখতে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
তামিম এসেছিলেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা নিয়ে। স্ত্রী প্রিয়ন্তি দেবনাথকে নিয়ে এসেছিলেন সৌম্য সরকার। টিকা নিতে আসতে দেখা গেছে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম শেখ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদরা।
টিকা নিয়ে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে তামিম জানান তার অনুভূতি, ‘এই পুরো জিনিসটাই যেভাবে বাংলাদেশ সরকার করছে এটা আসলে উৎসাহিত করার মতোই। আসলে আমরা বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথাগুলো সবসময় তুলে ধরি কিন্তু এই একটা জিনিস আমার কাছে মনে হয় যে ইতিবাচক জিনিসটা আমাদের শেয়ার করা উচিত। এত সুন্দরভাবে জিনিসটা হচ্ছে। জাস্ট আমরা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এসেছে বলে দেখে যে খুব ভালোভাবে হয়ে গেছে তা না।’
‘দেখেন ভয় অবশ্যই ছিল, এটা অস্বীকার করব না। সবার মনেই থাকতে পারে। জিনিসটা নিয়ে যদি একটু জানা যায় হয়তো জিনিসটা নিয়ে আপনি যখন কেউ বোঝাবেন তখন আপনি জিনিসটা বুঝতে পারবেন। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এই জিনিসটা পাচ্ছি। প্রথম সারির দেশ বলি অনেক দেশে কিন্তু এই পরিমাণ ভ্যাক্সিনেশন দেয়াই হয়নি সেখানে আমরা মোটামুটি ১২ নম্বর দেশ।’
ওয়ানডে অধিনায়ক জানান, তার পরিবারের প্রায় সবাই এরমধ্যে টিকার আওতায় চলে এসেছেন। টিকার প্রদানের প্রক্রিয়া খুব ভাল হওয়ায় সবাইকেই নেওয়ার আহবান তার, ‘যারা এটা মধ্যে সম্পৃক্ত আছেন তাদেরকে আমি আমার তরফ থেকে স্যালুট দেবো। এটি দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। শুধু আমার জন্য নয়, আমার যারা বন্ধু-বান্ধব আছে, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে নিবন্ধন করে গেছে এবং নিয়েছে তাদেরও পুরা প্রক্রিয়াটা খুবই ভালো।
‘আমি অভিনন্দন জানাতে চাই যারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। আমরা যতটুকু জানি আমরা ১২ নম্বরে আছি ভ্যাক্সিনেশনে। এই মাসের শেষে এমনও হতে পারে যে সেরা ৪ বা পাঁচে এর ভেতরে এসে যাবো। এটা অনেক বিশাল একটা অর্জন আমি মনে করি।’
'এটার জন্য আমার কাছে মনে হয় যে যারাই সম্পৃক্ত অবশ্যই ধন্যবাদ জানানো উচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে এই জিনিসটা ভালোভাবে করে দিয়েছেন সবার জন্য। উনাকেও ধন্যবাদ।'
প্রথমে টিকা নিবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তামিমও। তবে বিসিবির চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সরিয়ে ফেলেন সব সংশয়, 'আমিও একজন ছিলাম অস্বীকার করব না। যখন প্রথম অ্যাপ্রোচ হয়েছিল তখন আমিও নিশ্চিত ছিলাম না নিবো কি নেবো না। কিন্তু যখন এটা নিয়ে কথা বলেছে বিসিবি, বিভিন্নজন বুঝিয়েছে যে এই সিনড্রোমস হতে পারে । তো এটা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি নিতেই পারি। যেটা বললাম আমরা অনেক ভাগ্যবান, বাংলাদেশিরা অনেক ভাগ্যবান এতো তাড়াতাড়ি ও সুন্দরভাবে জিনিসটা নিতে পারছি।'
Comments